অ্যাটর্নি জেনারেল

নির্বাচনে অংশ নিতে খালেদা জিয়া-তারেক রহমানের আইনি বাধা নেই


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:১৩ অপরাহ্ন, ২৭শে ডিসেম্বর ২০২৪


নির্বাচনে অংশ নিতে খালেদা জিয়া-তারেক রহমানের আইনি বাধা নেই
ছবি: সংগৃহীত

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন সব মামলা নিষ্পত্তি হওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পরবর্তী নির্বাচনে অংশগ্রহণে কোনো ধরণের বাধা নেই।


শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত এক ছায়া সংসদে এ কথা বলেন তিনি।


অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত হলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দলটির নেতারা আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। তবে আপাতত সব মামলার নিষ্পত্তি হওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পরবর্তী নির্বাচনে অংশগ্রহণে কোনো রকম আইনি বাধা নেই।


আরও পড়ুন: দুর্ভাগ্য অনেকেই এখন বলছে বিএনপি সংস্কার চায় না: বিএনপি মহাসচিব


তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আমলে নানা অনিয়মের কারণে পূর্বের গণপ্রতিনিধি আইন অনুযায়ী দলটির নির্বাচনী অপরাধীদের বিচার করা হবে।


এ সময় মো. আসাদুজ্জামান বলেন, কোনো ষড়যন্ত্রের কাছে জুলাই বিপ্লব ব্যর্থ হতে পারে না। ষড়যন্ত্রকারীরা যত শক্তিশালীই হোক না কেন, এ বিপ্লব মুছে ফেলা যাবে না।


অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, হাসিনার নির্মম পরিণামের পর তার পাশে দলের কেউ দাঁড়াতে সাহস পাচ্ছে না। যারা নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছিল, সংবিধান কেটে-ছিঁড়ে মানুষের অধিকার ভূলুণ্ঠিত করেছিল, তারা ইতিহাসের খলনায়ক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।


আরও পড়ুন: একদল চাঁদাবাজি করে পালিয়েছে, আরেকদল করুক চাই না: শফিকুল ইসলাম


ছায়া সংসদে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারকে চিরদিন ক্ষমতায় রাখার অসৎ উদ্দেশে সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছিলেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার রায় জালিয়াতির দায়ে খায়রুল হকের গ্রেপ্তার ও বিচার সময়ের দাবি।


তিনি আরও বলেন, এ দেশে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল পতিত আওয়ামী সরকার। ডামি, একতরফা ও মধ্যরাতের নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছে। গত তিনটি নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, পুলিশ, রিটার্নিং অফিসার, পোলিং অফিসারসহ নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত প্রায় সবাই জাল-জালিয়াতির অপরাধে অপরাধী। যারা এসব নির্বাচনী অপরাধ করেছে, তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।


এমএল/