মূল্যস্ফীতি এখনো বাড়তি, চাপে দিনমজুররা: ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মহামুদ


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০৭ অপরাহ্ন, ৮ই জানুয়ারী ২০২৫


মূল্যস্ফীতি এখনো বাড়তি, চাপে দিনমজুররা: ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মহামুদ
ছবি: সংগৃহীত

মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও সেটা এখনো বাড়তি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মহামুদ। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি সবাই বলছে কিছুটা কমেছে, কিন্তু এটাকে কম বলে না। মূল্যস্ফীতি এখনো বাড়তিই আছে। এর ফলে দিনমজুরদের ওপর বেশ প্রভাব পড়ছে। একইসাথে মধ্যবিত্তরাও চাপে আছেন।


বুধবার (৮ জানুয়ারি) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে ব্রিফিং এ এসব কথা বলেন তিনি। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।


আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ভারতকে দেওয়া চিঠির জবাব এখনো আসেনি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা


এ সময় উপদেষ্টা বলেন, করোনা ও গণঅভ্যুত্থানের কারণে আমাদের দীর্ঘমেয়াদি একটি ক্ষতি সাধন হয়েছে। এটা জনমিতির সুবিধার ক্ষেত্রে। জনসংখ্যা বয়স কাঠামোর মাঝামাঝি সময় চলছে। ১০ বছর পর জনসংখ্যার এই বয়সটা আর থাকবে না। কারণ তাদের সবারই বয়স বেড়ে যাবে। তখন চিকিৎসা খরচ আরও বাড়বে। তবে সুশাসিত গণতান্ত্রিক শাসনে যদি উত্তরণ হতে পারে তাহলে এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠা সম্ভব নয়। এজন্য অন্তর্বর্তী সরকারের লক্ষ্য হওয়া উচিত এটাই। আমাদেরও অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হলো একটি ভালো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ভর্তি রচনা করা।


তিনি বলেন, রপ্তানি গতি অনেকটা স্বাভাবিকভাবে ফিরে এসেছে। রেমিট্যান্স আগের থেকে বাড়ছে। এটা আশার কথা। মূল্যস্ফীতি সবাই বলছে কিছুটা কমেছে, কিন্তু এটাকে কম বলে না। মূল্যাস্ফীতি এখনও বাড়তিই আছে। এর ফলে দিনমজুরদের ওপর বেশ প্রভাব পড়ছে। একইসাথে মধ্যবিত্তরাও চাপে আছে।


পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলির প্রক্রিয়া শুরু করা হচ্ছে। এটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা হবে। এক্ষেত্রে নারী-পুরুষ এবং বাড়িসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা অবশ্যই বিবেচনা করা হবে। আমি এসব মৌলিক কাজ করছি সেখানে মহার্ঘভাতার বিষয়টি মাথায় রাখছি না। এ ছাড়া ইতোমধ্যেই ৫৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি দিয়ে শান্ত করেছি। এটা একটা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ ছিল।


আরও পড়ুন: একনেক সভায় অনুমোদন পেল ৪ হাজার কোটি টাকার ১০ প্রকল্প


২০১০ সাল থেকে কোনো বছরেই মার্চের আগে সম্পূর্ণ পাঠ্যবই যায়নি। কোনো কোনো বছর পাঠ্যবই গিয়েছিল জুন-জুলাইয়ে। আমাদের বেলায় খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে দেওয়া হয়েছে। ৫০ বছর ধরে বাংলাদেশের ইতিহাস বিতর্কিত হয়েছে, সেটি নিয়ে কোনো সম্পাদকীয়, উপসম্পাদকীয় ছাপা হয়নি। অথচ রংপুরের আবু সাঈদের মৃত্যুর তারিখ ভুল হওয়া নিয়ে ব্যাপক নিউজ হয়েছে। আমরা বলেছি ভুল ভ্রান্তি হতেই পারে। সেগুলো সংশোধন করা হবে।


তিনি বলেন, দেশের নদী ব্যবস্থাপনা নিয়ে আমরা একটা পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা তৈরি করছি। বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি নিয়ে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য উপাত্ত দরকার। তওব ডেল্টা প্ল্যান তার জায়গায় থাকবে। ওটা শতবছরের পরিকল্পনা। কিন্তু কোনো বিশেষজ্ঞই বলতে পারবে না শত বছরে বাংলাদেশের কি অবস্থা হবে। তাই মধ্য মেয়াদি পরিকল্পনা দরকার। তিনি বলেন, ভোজ্য তোলে স্বয়ং সম্পন্ন হওয়া সম্ভব নয়।


এমএল/