মহেশখালিতে গৃহবধূকে হাত বেঁধে ধর্ষণের পর টাকা লুট

কক্সবাজারের মহেশখালিতে রাতের আঁধারে বাড়ির জানালা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে এক  গৃহবধূকে হাত-পা বেঁধে পাশবিক নির্যাতন চালানোর পর ধর্ষণ করে সাড়ে ৩ লাখ টাকা লুট করেছে একদল মুখোশধারী সন্ত্রাসী।

আরও পড়ুন: কক্সবাজারের পর্যটনকে প্রমোট করলে দেশের অর্থনীতি আরো সমৃদ্ধ হবে : উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ

বুধবার (৮ জানুয়ারি) দিনগত রাত ৩ টার দিকে উপজেলার কালারমার ছাড়া ইউনিয়নের সোনার পাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আহত গৃহবধু বর্তমানে মহেশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নারী বলেন, আমার স্বামী চট্টগ্রাম চিকিৎসার কাজে চট্টগ্রাম শহরে রয়েছেন। বুধবার রাতে বাড়িতে আমি ও আমার ননদ প্রতিদিনের মতো ঘুমিয়ে পড়ি। রাত আনুমানিক তিনটার দিকে আমার বাড়ির জানালা ভেঙ্গে কয়েকজন সন্ত্রাসী আমার মুখ চেপে ধরে আমার হাত পা ও মুখ বেঁধে ফেলে। এরপর কয়েকজন মিলে আমার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে আঘাত করে এবং তাদেরকে  আলমারির চাবি দিতে রাজি না হওয়ায় জোরপূর্বক একজনে ধর্ষণ করে। পরে তারা আমার কোমরে থাকা চাবি ছিনিয়ে নিয়ে আলমারীর ভেতর রক্ষিত সাড়ে তিন লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। 

তিনি আরো বলেন,  জমি অধিগ্রহণ থেকে  উত্তলনকৃত টাকা পারিবারিক ভাগবাটোয়ারা পর আমার স্বামী প্রায় ৪ লাখ টাকা পান। সেখানে থেকে পারিবারিক কাজে কিছু খরচ করে বাকি ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা বাপের বাৎষরিক মেজবান ও মায়ের ওমরাহর জন্য জমা রাখে। সেই টাকাই লুট করেছে ডাকাতরা।

ঘটনার  প্রত্যক্ষদর্শী ভিকটিমের ননদ ১০ বছরের মেয়ে বলেন, আমার ভাবীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন চালিয়ে বাসায় গচ্ছিত টাকা লুট করেছে মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা। 

কালারমারছড়ার ইউপি সদস্য মুহাম্মদ আলী বলেন, ডাকাতির উদ্দেশ্যে একদল সন্ত্রাসী আমার এক আত্নীয়কে শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে ধর্ষন করেছে। আমি বিষয়টি জেনে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছি এবং প্রশাসন খবর দিয়েছি।  

আরও পড়ুন: কক্সবাজার উখিয়ায় ‘মোবাইল চুরির’ অভিযোগে তুলে নিয়ে হত্যা

মহেশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত চিকিৎসক মুহাম্মদ রায়হান বলেন, কালারমারছড়ায় গৃহবধুকে ধর্ষণের আলামত পেয়েছি। ওই গৃহবধুর পুরো শরীরে কামড়ের একাধিক দাগ ও আঁচ রয়েছে। 

মহেশখালী থানার ওসি কায়সার হামিদ

বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। এখনো এখানে রযেছি। ঘটনার আদ্যপান্থ জনার চেষ্টা করছি।  

এসডি/