শ্রীনগরে শীতকালীন ডাঁটা চাষে ভাগ্য ফিরছে কৃষকের
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫:১৮ অপরাহ্ন, ১১ই জানুয়ারী ২০২৫
শ্রীনগরে শীতকালীন ডাঁটা চাষে স্বাবলম্বী হচ্ছেন কৃষক। অল্প খরচে উচ্চ ফলনশীল দেশি জাতের কাজলা নামক ডাঁটার বাণিজ্যিক চাষে স্থানীয়দের আগ্রহ বাড়ছে। বিভিন্ন আগাম শাক-সবজির পাশাপাশি হৃষ্টপুষ্ট সবুজ রঙের এসব ডাঁটা চাষে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন তারা।
আরও পড়ুন: শ্রীনগরে শীত কালীন সবজি চাষে লাভবান কৃষক
পাইকারি দরে প্রতি আঁটি (৫/৬ পিস) ডাঁটা বিক্রি হচ্ছে ৮-১০ টাকা। খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা দরে। উপজেলার সোন্ধারদীয়া, ব্রাক্ষনখোলা ও বীরতারা এলাকার সবজি চাষিরা বিভিন্ন জমিতে ডাঁটা চাষ করে লাখ টাকা আয় করছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, তন্তর এলাকায় আলু, ফুলকপি, টমেটো, লাউ, মিষ্টি কুমড়ার চাষ করছেন স্থানীয়রা। এর মধ্যে বেশকিছু জমিতে আগাম ডাঁটার চাষ হচ্ছে। ডাঁটায় জমিগুলো ঢাকা রয়েছে। ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পাড় করেছেন কৃষক ও শ্রমিকরা। এ সময় লক্ষ্য করা যায়, একটি জমিতে শ্রমিকরা ডাঁটা তুলে আটি বাঁধছেন।
মো. আক্তার হোসেন ও আক্কাস মোল্লা বলেন, দৈনিক ৬০০ টাকা রোজে জমিতে কাজ করছেন। বিকালে এসব ডাঁটা রাজধানীর সবজির বাজারে নেওয়া হবে। পার্শ্ববর্তী সিরাজদীখান উপজেলার মালখানগর এলাকার মো. শাহিন বলেন, ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা চুক্তিতে ৪২ শতাংশ জমির ডাঁটা কিনেছেন তিনি। শ্রমিকরা ৬ দিন ধরে ক্ষেতের ডাঁটা তুলছেন। এ ধরনের ডাঁটা স্বাদ ও পুষ্টিগুণে ভরপুর। বর্তমান সবজির বাজারে কাজলা ডাঁটার চাহিদা ব্যাপক।
স্থানীয় কৃষক শেখ আয়নাল হোসেন বলেন, মোট ১১ গন্ডা (৭৭ শতাংশ) জমিতে এই জাতের ডাঁটার চাষ করেছি। সোন্ধারদীয়, পানিয়া, সিংপাড়াসহ পার্শ্ববর্তী ছাইতানতলী এলাকায় আমার মতো অনেকেই কাজলা ডাঁটা চাষ করেছেন। ৪০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে উৎপাদিত ডাঁটা বিক্রি করা যাচ্ছে। ডাঁটা চাষে লাখ টাকা লাভের স্বপ্ন দেখছেন তিনি।
আরও পড়ুন: শ্রীনগরে জৌলুস ছড়াচ্ছে সরিষা
শ্রীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহসিনা জাহান তোরন জানান, এ বছর শ্রীনগর উপজেলায় সাড়ে ৫৮৫ হেক্টর জমিতে শীতকালীন বিভিন্ন শাক-সবজির চাষাবাদ করা হচ্ছে। আর উপজেলা ব্যাপী মোট ২০ হেক্টর জমিতে ডাটা চাস করা হয়েছে।চাহিদা মেটাতে উচ্চ ফলনশীন শাক-সবজি চাষের জন্য তাদেরকে বিভিন্নভাবে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এসডি/