সেন্টমার্টিনে আগুনে তিনটি ইকো রিসোটের ২৬টি কক্ষ পুড়ে ছাই
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২:৩৭ অপরাহ্ন, ১৫ই জানুয়ারী ২০২৫
প্রবাল দ্বীপ সেন্টমাটিনে আগুণে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে তিনটি ইকো রিসোটের ২৬টি কক্ষ। তবে তাৎক্ষনিক ক্ষয়ক্ষতির কোনো পরিমান জানা যায়নি।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দিনগত মধ্যরাত ২টা ১০মিনিটের দিকে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন দ্বীপের গলাচিপা এলাকার বীচ ভ্যালী এবং কিংশুক ও সাইরী ইকো রিসোর্টে এই আগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান।
আরও পড়ুন: কক্সবাজার উখিয়ায় ‘মোবাইল চুরির’ অভিযোগে তুলে নিয়ে হত্যা
প্রত্যক্ষদর্শী ও ইকো রিসোর্টে মালিকদের বরাত দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, মধ্যরাতে সেন্টমার্টিনে পশ্চিম সৈকতের গলাচিপায় অবস্থিত সাইরী ইকো রিসোর্টের (রিসিপশন) অভ্যর্থনা কক্ষ থেকে মাল্টিপ্লাগে শর্টসার্কিট হয়ে আগুনের সুত্রপাত ঘটেছে। এতে করে পাশে থাকা বীচ ভ্যালীর ১৮টি কক্ষ, কিংশুক ইকো রিসোর্টে ৭টি ও সাইরী ইকো রিসোর্টের (রিসিপশন) অভ্যর্থনা কক্ষ ১টিসহ সর্বমোট ২৬টি কক্ষ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, সাইরী ইকো রিসোর্টের (রিসিপশন) অভ্যর্থনা কক্ষে মাল্টিপ্লাগে শর্টসার্কিট হয়ে আগুণের উৎপত্তি হয়। অভ্যর্থনা কক্ষে ঠিক পেছনে বীচ ভ্যালী ইকো রিসোর্ট। বাতাস থাকার কারণে মিনিটের মধ্যে বীচ ভ্যালীর ছাউনিতে আগুন লেগে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগে শুকনো কাঠ আর বাঁশ দিয়ে তৈরি বীচ ভ্যালী ইকো রিসোর্টে আগুণ লাগার সঙ্গে সঙ্গে কয়েক মিনিটের মধ্যে পুরো রিসোর্টে ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে বীচ ভ্যালীসহ পাশের কিংশুক ইকো রিসোর্ট পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সেন্টমার্টিন দ্বীপের স্থানীয় বাসিন্দা এবং আগত পর্যটক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রচেষ্টায় ভোররাত প্রায় ৪টার দিকে আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে।
বীচ ভ্যালীর ইকো রিসোর্টে পর্যটক ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দম্পতি বলেন, আগুনের সূত্রপাতের সময় অধিকাংশ পর্যটকেরা রিসোর্টের বাইরে থাকায় হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে অধিকাংশ পর্যটকদের মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে এবং নির্ঘুম রাত কাটাটা হয়েছে। কটেজ গুলোতে আগুন নিয়ন্ত্রণের বিকল্প কোন ধরনের ব্যবস্থা না থাকায় সবগুলো কক্ষপুড়ে ছাই হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: টেকনাফ পাহাড়ে বাচ্চা প্রসবের পর মা হাতির মৃত্যু
দ্বীপের বাসিন্দা ও সাভিস ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রথমে সাইরী ইকো রিসোর্টে থেকে আগুন লাগে। পরে সেখান থেকে আরও দুটি রিসোর্টে আগুন লাগে। ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজনসহ কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও ট্যুরিস্ট পুলিশ এবং বিজিবি সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
কিংশুক ইকো রিসোর্টে স্বত্বাধিকারী সরওয়ার আলম বলেন, আমি আমার বউ বাচ্চা নিয়ে দীর্ঘদিন পরে সেন্টমার্টিন আসছি। আমার ছোট ছোট বাচ্চাদের সামনে আমার তিলেতিলে করে গড়া স্বপ্নের প্রতিষ্ঠানটি পুড়ে ছারখার হয়ে গেছে। আমার সবকিছু নিমিষেই শেষ হয়ে গেছে।
আরএক্স/