‘উই প্রকল্প নারীদের ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে একটি অনন্য উদাহরণ’


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:৩৮ অপরাহ্ন, ২৮শে জানুয়ারী ২০২৫


‘উই প্রকল্প নারীদের ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে একটি অনন্য উদাহরণ’
ছবি: সংগৃহীত

ট্রেডক্রাফট এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের উদ্যোগে Empowering Women’s CSOs to Ensure Good Governance (WEE) Project,” / ‘নারী নাগরিক সংগঠনগুলোর ক্ষমতায়ন এবং সুশাসন নিশ্চিতকরণ (উই) প্রকল্প’-এর চূড়ান্ত লার্নিং শেয়ারিং ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 


মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলশানের আমারি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়।


ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ট্রেইডক্র্যাফট এক্সচেঞ্জের সহ-অর্থায়নে পরিচালিত এই প্রকল্পটি নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, সামাজিক নেতৃত্ব এবং টেকসই উন্নয়নের এক মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।


আরও পড়ুন: ভূমিসেবায় ডিজিটাইজেশন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে: ভূমি উপদেষ্টা 

  

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত ও প্রধান প্রতিনিধি মাইকেল মিলার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন প্রফেসর ড. মাহবুব উল্লাহ, কনভেনর, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমিতি; জনাব শামসুদ দৌজা, যুগ্ম সচিব, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং মিসেস লায়লা জেসমিন বানু, প্রোগ্রাম ম্যানেজার, ইউরোপীয় ইউনিয়ন; মিসেস জাকিয়া আফরোজ, পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব), মহিলা বিয়য়ক অধিদপ্তর; এবং এস. এম. সোহরাব উদ্দিন, পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।


প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাইকেল মিলার বলেন, উই প্রকল্প নারীদের ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে একটি অনন্য উদাহরণ। এই প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ নারীরা কেবল আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়নি, বরং তাদের নেতৃত্ব ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে নারী নেতৃত্ব বিকাশের যে ভিত্তি স্থাপন করা হয়েছে তা টেকসই উন্নয়নের ও  গণতন্ত্র চর্চার একটি মডেল হিসেবে কাজ করবে।


অনুষ্ঠানে ট্রেডক্রাফট এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ও অপারেশনের প্রধান জহির-বিন-সিদ্দিক বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যে নারীর ক্ষমতায়ন সমাজের সামগ্রিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত। SADIPATI  উইমেন কমিউনিটি স্টোর এবং ক্লিন কমিউনিটি সেন্টার-এর মতো উদ্যোগগুলো নারীদের আর্থিক ও সামাজিকভাবে শক্তিশালী করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে। অনুষ্ঠানে উই প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়। SADIPATI উইমেন কমিউনিটি স্টোর প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ১০৫টি গ্রামীণ স্টোর পরিচালিত হয়েছে, যা নারীদের আয়ের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি তাদের নেতৃত্ব বিকাশে সহায়ক হয়েছে। এছাড়া ক্লিন কমিউনিটি সেন্টার-এর মতো উদ্যোগগুলোর মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে পরিবেশ সুরক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টি করা হয়েছে।


আরও পড়ুন: সব ইবতেদায়ি মাদরাসা পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণ হবে: শিক্ষা মন্ত্রণালয়


উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে উপস্থিত অংশগ্রহণকারীরা প্রকল্পের বিভিন্ন দিক নিয়ে মতবিনিময় করেন। অংশীদার সংস্থার প্রতিনিধিরা তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন এবং ভবিষ্যতে এই প্রকল্পকে কীভাবে আরো কার্যকর করা যায় সে বিষয়ে মতামত দেন।


অনুষ্ঠানের শেষে বিভিন্ন নারীর জীবন পরিবর্তনের গল্প শোনানো হয়, যারা উই প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের জীবনে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছেন। তাদের জীবনযাত্রার ইতিবাচক পরিবর্তনের কথা তুলে ধরে, তারা এই প্রকল্পের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।


এমএল/