নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা

স্বপ্ন দেখি, শিক্ষার্থীরা দেশের ভেতরেই তাদের ভবিষ্যৎ দেখবে


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:৫১ অপরাহ্ন, ৫ই মার্চ ২০২৫


স্বপ্ন দেখি, শিক্ষার্থীরা দেশের ভেতরেই তাদের ভবিষ্যৎ দেখবে
ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীরা দেশের ভেতরেই তাদের ভবিষ্যৎ দেখতে পাবে, এমন একটা শিক্ষা ব্যবস্থার স্বপ্ন দেখেন।  

বুধবার (৫ মার্চ) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর এ কথা জানান তিনি। 


এ সময় নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, দেশে বড় রকমের একটা পরিবর্তন হয়েছে। আমরা কখনোই ভাবিনি আমাদের জীবদ্দশায় এভাবে মুক্তভাবে কথা বলতে পারব। প্রধান উপদেষ্টা আমাকে যে দায়িত্বটা দিয়েছেন সেটা একটা বড় ধরণের চ্যালেঞ্জ। প্রধান উপদেষ্টাও বলেছেন, সামনে যে জার্নিটা ইজি হবে, তা নয়।


আরও পড়ুন: ভারত ভিসা দেবে কি না, তাদের সিদ্ধান্ত: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা


সি আর আবরার বলেন, শিক্ষা একটা বিশাল জগৎ। আমরা সবাই জনগণের টাকায় বড় হয়েছি। সুতরাং জনগণের প্রতি আমাদের অনেক দায়বদ্ধতা আছে।


তিনি বলেন, অনেকে আমাকে প্রশ্ন করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন, কেমন শিক্ষা ব্যবস্থা দেখতে চান। আমি মনে করি শিক্ষা হচ্ছে বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণে সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম। আমি স্বপ্ন দেখি আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা দেশের ভেতরেই তাদের ভবিষ্যৎ দেখতে পাবে। দেশে থেকেই বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে পারবে। আমি জানি এটা হয়তো দ্রুত হবে না; কিন্তু এর একটা ভিত্তি আমরা তৈরি করতে চাই।  


এদিকে দায়িত্ব হস্তান্তরকালে সদ্য বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, শিক্ষা কমিশন অতীতে ৫ থেকে ৬টি হয়েছে। তারা কি সমস্যার সমাধান করেছে? কয়েকজনকে বসিয়ে দিয়ে কমিশন করলেই কি সমস্যার সমাধান হবে? তাদের সবকিছু বুঝতেই তো অনেক সময় চলে যাবে। আমাদের দূরদৃষ্টিসম্পন্ন একটি কমিশন হওয়া উচিত।


আরও পড়ুন: কোন দল চাঁদাবাজি করল এটা সরকার দেখবে না: রিজওয়ানা


তিনি বলেন, অনেকেই জানে না বেসরকারি খাতের শিক্ষকদের কোনো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেই। নায়েমসহ এ ধরনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে শুধু সরকারি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। অথচ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তুলনায় বেশি। সুতরাং নতুন কমিশন এসে এসব বিষয় বিবেচনায় নেবে। 


ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আরও বলেন, কারিকুলাম ভালো করার পর প্রশিক্ষিত শিক্ষক না থাকলে তো কাজ হবে না। শিক্ষা ব্যবস্থা নষ্ট হতে অনেক সময় লাগে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা খুবই বিশৃঙ্খল ও অবিন্যস্ত।


এমএল/