মাগুরার সেই শিশুটি চোখের পাতা নেড়েছে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং


Janobani

বিশেষ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:৪৮ অপরাহ্ন, ১০ই মার্চ ২০২৫


মাগুরার সেই শিশুটি চোখের পাতা নেড়েছে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আব্দুল কালাম আজাদ মজুমদার জানিয়েছেন, মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটি চোখের পাতা নড়েছে। তবে তার শারীরিক অবস্থার খুব সামান্যই উন্নতি হয়েছে। 


সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার  এ কথা জানান। সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবও বক্তব্য দেন।


আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অবস্থা ছিল গাজার মতো: প্রধান উপদেষ্টা


আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, মাগুরার শিশুটির স্বাস্থ্যের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ চিকিৎসকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। আজকেও তিনি চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। চিকিৎসকেরা তাকে জানিয়েছেন শিশুটির শারীরিক অবস্থার খুব সামান্য উন্নতি হয়েছে। তবে শ্বাসনালির সমস্যার কারণে মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে। শিশুটির মস্তিষ্কে পানি জমে গিয়েছিল। সেটি এখনও অপসারণ করা সম্ভব হয়নি। তবে বুকের মধ্যে যে বাতাস জমেছিল, সেটি দূর করা গেছে। চিকিৎসকেরা আশাবাদী দু-এক দিনের মধ্যে তার স্বাস্থ্যের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হবে।


উল্লেখ্য, এ ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাসুর জানতো। পরে ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালানো হয়।


শনিবার (০৮ মার্চ) সকালে বড় বোন ও বাবাকে দিয়ে মাগুরা সদর থানায় এজাহার পাঠান শিশুটির মা। সেই অনুযায়ী বেলা ৩টার দিকে মামলা রেকর্ড হয়। মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (৪) এর ক/৩০ ধারায় ধর্ষণ ও ধর্ষণের মাধ্যমে আহত করার অভিযোগ করা হয়। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাসুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিল। পরে তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়। 


আরও পড়ুন: পাচার করা টাকা ফেরাতে দ্রুত বিশেষ আইন করা হবে : শফিকুল আলম


আট বছরের এই শিশুটি বুধবার (০৫ মার্চ) বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে গভীর রাতে ধর্ষণের শিকার হয়। শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেও তার অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। ৬ মার্চ রাতে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার (৭ মার্চ) রাতে শিশুটিকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। শনিবার (৮ মার্চ) বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে শিশুটিকে রজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়।


বর্তমানে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) শিশু বিভাগের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (পিআইসিইউ) শিশুটিকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।


এমএল/