ঝিনাইদহে ঈদ পুনর্মিলনীতে ওয়াজির আলী স্কুলে প্রাণের উচ্ছ্বাস
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:১২ অপরাহ্ন, ৩রা এপ্রিল ২০২৫

ঝিনাইদহের ঐহিত্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ওয়াজির আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিদ্যাপীঠের ১২২ বছর পূর্তি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠান হয়। এতে বিভিন্ন ব্যাচের কয়েক হাজার প্রাক্তন শিক্ষার্থী অংশ নেন।
এ উপলক্ষে বিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের পায়রা চত্বর ও সরকারি কেশবচন্দ্র কলেজসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে মিলিত হয়। র্যালিতে জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এমএ মজিদ, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা নেতৃত্ব দেন।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে আখের সাথে সাথীফসল চাষাবাদ শীর্ষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত
এসময় ঝিনাইদহ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লিটন, কামরুজ্জামান লিটনসহ প্রতিষ্ঠানটির হাজারো প্রাক্তন শিক্ষার্থী অংশ নেন। বাদ্য-বাজনা বাজিয়ে ও রঙ-বেরঙের বেলুন হাতে তারা নেচে গেয়ে এ র্যালি করেন। এসময় শহর জুড়ে আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
র্যালি শেষে বিদ্যালয়ের মাঠে স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা হয়। এসময় বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনাসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা শেষে বিকেল ৩টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
প্রতিষ্ঠানটির প্রাক্তন শিক্ষার্থী সাদেক আলী বলেন, বহুদিন পর এরকম একটা আয়োজনের ফলে আমরা একত্রিত হতে পেরেছি। বয়স হয়ে গেছে। তবুও আজ শৈশবের বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়েছে। মনে হচ্ছে, শৈশবে ফিরে এসেছি।
প্রতিবছর পুনর্মিলন অনুষ্ঠানের দাবি রেখে প্রবীণ প্রাক্তন শিক্ষার্থী সামাদ আলী বলেন, ৪৫ বছর আগে স্কুল থেকে বিদায় নিয়েছি। এখনো স্কুলের সেই স্মৃতিগুলো মনে পড়ে। আজ অনুষ্ঠানে এসে অনেক ভালো লাগছে। তবে অনেক বন্ধু পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছে। তাদের কথা মনে পড়ছে।
অনুষ্ঠানের আয়োজকদের অন্যতম আমিনুল ইসলাম লিটন বলেন, বিগত সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ফ্যাসিবাদী অপশক্তির দৌরাত্ম্য ছিল। যে কারণে এ ধরনের অনুষ্ঠানে মানুষের প্রাণবন্ত উপস্থিতি ছিল না। এবার আমরা চেষ্টা করেছি, যেন এই আয়োজনে সবাই প্রাণ খুলে অংশ নিতে পারে।
১৯০৩ সালে তৎকালীন ঝিনাইদহ শহরে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ওয়াজির আলী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানটি জেলার শিক্ষা ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।
জেবি/ এজে