মহেশখালীর অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্রী উদ্ধার, রোহিঙ্গা নারী আটক

পরে দুই লাখপঞ্চাশ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে
বিজ্ঞাপন
কক্সবাজারের মহেশখালী থেকে অপহৃত মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণী পড়ুয়া এক ছাত্রীকে তিন দিন পর বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালির গহীন পাহাড়ি এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব। এ সময় অপহরণে জড়িত এক রোহিঙ্গা নারীকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দিবাগত মধ্য রাতে এই অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারস্থ র্যাব ১৫ এর সহকারি পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) সহকারি পুলিশ সুপার আ. ম. ফারুক।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
আটক খালেদা বেগম (২৮) উখিয়ার কুতুপালং ৪ নম্বর ক্যাম্পের মোহাম্মদ করিমের স্ত্রী। বিভিন্ন অপরাধের কারণে খালেদা ক্যাম্প থেকে পালিয়ে মহেশখালীতে আশ্রয় নিয়েছিল বলে জানিয়েছে র্যাব।
সহকারি পুলিশ সুপার আ. ম. ফারুক জানিয়েছেন, মহেশখালীর শাপলাপুর ইউনিয়নের শাপলাপুর ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রী সোমবার (২১ এপ্রিল) নানির ঔষধ আনার জন্য ডাক্তারের দোকানে গেলে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা তার নানা বাড়ির পাশে খালেদা নামে এক নারী সবার অগোচরে সুকৌশলে তাকে অজ্ঞান করে নিয়ে যায়।ভিকটিমের জ্ঞান ফিরলে সে তাকে সিএনজিতে চিরিঙ্গাতে দেখতে পান। পরবর্তীতে তাকে সিএনজিতে করে বান্দরবানের লামার ফাঁসিয়াখালি ইউনিয়নের হায়দারনাশির গহীন পাহাড়ি এলাকায় অপহরণের সাথে জড়িত জমির উদ্দিনের বাড়িতে লুকিয়ে রাখে। পরে দুই লাখপঞ্চাশ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
এব্যাপারে ভিকটিমের পরিবার মহেশখালী থানায় একটি জিডি করেন। এরপর থেকেই অপহরণ এবং মুক্তিপণের বিষয়টি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ছড়াতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৫ এর সদর কোম্পানির একটি চৌকস আভিযানিক দল বৃহস্পতিবার রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে হায়দারনাশির গহীন পাহাড়ি এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিমকে উদ্ধার এবং অপহরণকারী চক্রের পরিকল্পনাকারী খালেদাকে আটক করতে সক্ষম হয়।
তিনি বলেন, খালেদার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে মহেশখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এমএল/








