যুদ্ধাবস্থায় আছি, পুলিশকে সজাগ থাকতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৪৫ অপরাহ্ন, ২৯শে এপ্রিল ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশে এই মুহূর্তে এক ধরনের যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। এ অবস্থায় অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করতে পুলিশকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আমরা একটা যুদ্ধাবস্থায় আছি। অশুভ শক্তি আমাদের স্বপ্ন ও ঐক্য ভেঙে দিতে সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে চেষ্টা অব্যহত রেখেছে। একে প্রতিহত করতে পুলিশকে সজাগ থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: মাওলানা রঈস উদ্দিন হত্যার বিচার নিশ্চিতে তিন দাবি
তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছর পুলিশকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করা হয়েছিল। অবৈধ আদেশ পালন করতে গিয়ে পুলিশ বাহিনী জনরোষের শিকার হয়েছে, যার কারণে অনেক সৎ অফিসারকেও খেসারত দিতে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচার পতনের পর পুলিশ বাহিনী সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছিল। তবে, অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশকে উজ্জীবিত করতে। পুলিশের কাজের সহায়ক পরিস্থিতি যাতে তৈরি হয়, সেজন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে, পুলিশ এই স্বপ্ন পূরণের মূল শক্তি। এখন বড় চ্যালেঞ্জ হলো, স্বৈরাচার আমলে পুলিশ ও জনগণের মধ্যে যে দূরত্ব সৃষ্টি করা হয়েছিল, তা কমিয়ে পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা। আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা, মানুষ ও পুলিশের মধ্যে দূরত্ব ঘুচিয়ে ফেলা, যাতে সাধারণ মানুষ পুলিশকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করে।
চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছর জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন যেন সুষ্ঠু হয়, সেজন্য পুলিশের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনে সব প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর প্রতি সমান আচরণের পাশাপাশি ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারেন সেই পরিবেশ নিশ্চিত করা পুলিশের দায়িত্ব।
আরও পড়ুন: মামলা দিয়ে নিরীহ কাউকে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ভবিষ্যতে যাতে পুলিশ বাহিনীকে দলীয় বাহিনী হিসেবে ও অন্যায় কাজে ব্যবহার করা না যায়, সেজন্য সুষ্ঠু নির্বাচন অত্যন্ত জরুরি। নির্বাচনের আগের সময়টা অনেক কঠিন, পুলিশকে সজাগ থাকতে হবে পরাজিত শক্তি যেন কোনভাবেই দেশকে অস্থিতিশীল করতে না পারে।
এ ছাড়া নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে পুলিশকে সর্বোচ্চ সংবেদনশীল হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নিরাপত্তার দিক থেকে দেশ অনেক দূর এগিয়েছে। নারী ও শিশু নিরাপত্তা পেলেই দেশ আরও এগিয়ে যাবে। সব স্তরের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় পুলিশকে ভূমিকা পালন করতে হবে।
ড. ইউনূস বলেন, নায্যতার ভিত্তিতে গঠিত বৈষম্যমুক্ত দেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখছি। আমরা দ্বিতীয় বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন দেখছি, জুলাই অভ্যুত্থান আমাদের সেই সুযোগ করে দিয়েছে। এই সুযোগ যেন আমরা কখোনই না হারাই। এবার ব্যর্থ হলে ভবিষ্যৎ প্রজম্মের কাছে আমরা চিরজীবনের জন্য দায়ী থাকবো।
এমএল/
বিজ্ঞাপন
পাঠকপ্রিয়
আরও পড়ুন

সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠাবে মালয়েশিয়া: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সঙ্গে বামা’র প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর পরিদর্শন

কোনো সেনা সদস্য 'গুমে' জড়িত থাকলে কঠোর ব্যবস্থা: সেনাসদর
