জমি বিক্রি করে ছেলেকে ক্রিকেটার বানিয়েছে বৈভবের বাবা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:১১ অপরাহ্ন, ১লা মে ২০২৫

মাত্র ১৪ বছর বয়সে আইপিএলে নিজের অভিষেক ম্যাচেই আলো ছড়িয়েছিলেন বৈভব সূর্যবংশী। মাঠে নেমেই প্রথম বলে ছক্কা হাঁকান তিনি। তবে নিজের তৃতীয় ম্যাচে যা করলেন, তা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসেই নজিরবিহীন। গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে ঝড়ের বেগে সেঞ্চুরি করে রীতিমতো রেকর্ডবই উল্টে ফেলেছেন এই কিশোর ওপেনার। ৩৫ বলের বিস্ফোরক শতরান এনে দিয়েছে দল রাজস্থান রয়্যালসকে কাঙ্ক্ষিত জয়, আর বৈভবকে এনে দিয়েছে সারা ভারতজুড়ে প্রশংসা।
বৈভবের বাবা একসময় ক্রিকেট খেলতেন। কিন্তু বড় কোনো মঞ্চে যেতে পারেননি। পারিবারিক কৃষি জমি থাকায় পেশা হিসেবে সেটাকেই বেছে নেন। কিন্তু ক্রিকেটের স্বপ্নটা ঠিকই পুষে রেখেছিলেন, যেটা তিনি ছড়িয়ে দেন ছেলে বৈভব সূর্যবংশীর মাঝে। মাত্র ৪ বছর বয়সে বাড়ির উঠোনে বাবার হাতেই ক্রিকেটে হাতেখড়ি হয় বৈভবের।
বৈভবের বাবা বলেন, আমার ছেলে কঠোর পরিশ্রম করেছে। আমিও অনেক অর্থ ব্যয় করেছি। ওর খরচ জোটাতে নিজের শেষ সম্বল জমিও বিক্রি করেছি।
মাত্র ৯ বছর বয়সে বৈভব ভর্তি হয় সমস্তিপুর ক্রিকেট একাডেমিতে। সেখানে আড়াই বছর ছিল সে। এরপর সুযোগ এল বিজয় মার্চেন্ট ট্রফির জন্য বাছাইপর্বে খেলার। বৈভব তার সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করল, কিন্তু নির্বাচকেরা তার কম বয়স দেখে তাকে মূল দলে না নিয়ে অপেক্ষমাণ তালিকায় রাখলেন। ওই মুহূর্তে হয়তো একটু মন খারাপ হয়েছিল বৈভবের, কিন্তু কে জানত, ওখানেই তার জন্য অপেক্ষা করছিল নতুন এক সুযোগ! সেদিন সেই বাছাইপর্বে উপস্থিত ছিলেন সাবেক রঞ্জি ক্রিকেটার মনীশ ওঝা। তাঁর চোখ এড়ায়নি ছোট্ট বৈভবের প্রতিভা। সেদিন থেকেই মনীশ ওঝা নিলেন বৈভবের কোচিংয়ের দায়িত্ব। ধরলেন তার হাত, দেখালেন নতুন পথের দিশা।
আরএক্স/