কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে প্রান গেল ৪ কৃষকের
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭:৫১ অপরাহ্ন, ১১ই মে ২০২৫

কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে চার কৃষক নিহত ও আহত হয়েছেন আরও একজন।
রবিবার (১১ মে) বিকাল তিনটার দিকে ভৈরব, কুলিয়ারচর, করিমগঞ্জে ও হোসেনপুর উপজেলায় বজ্রপাতের ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে প্রাণ গেল তিন ছাত্রী ও এক কৃষকের
নিহতরা হলেন ভৈরব উপজেলার শ্রীনগর গ্রামের ইউনুস মিয়ার ছেলে ফয়সাল মিয়া (২৮) ও রসুলপুর গ্রামের আফছর উদ্দিন মিয়ার ছেলে ফারুক মিয়া (৬৫) এবং কুলিয়ারচর উপজেলার হাজারিনগর গ্রামের সফিকুল ইসলাম সফু মিয়ার ছেলে কবির মিয়া (২৫) ও করিমগঞ্জ সুতারপাড়া ইউনিয়নের সাগুলি গ্রামের মাজু মিয়ার ছেলে হাদিস মিয়া (৩২)। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন হোসেনপুর উপজেলার আড়াইবাড়িয়া গ্রামের আবু বকর (৬০)।
স্থানীয়রা জানান, বিকাল তিনটার দিকে বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হয়। আগে থেকেই জমিতে কাজ করছিলেন ওই তিন কৃষক। বজ্রপাতে আক্রান্ত হয়ে তিনজন গুরুতর আহত হন। লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. উম্মে হাবিবা জুঁই জানান, বজ্রপাতে আক্রান্ত তিনজন রোগী আনা হয়। হাসপাতালে আনার আগেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।
প্রতিবেশিরা জানান, বিকেলে বাড়ির পেছনের বেড়া ঠিক করতেছিলেন হাদিস মিয়া । হালকা বৃষ্টি উপেক্ষা করে কাজটি শেষ করতে চেয়েছিলেন তিনি । কিন্তু হটাৎ বিকট শব্দে বজ্রপাত হলে তাৎক্ষণিক মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। প্রতিবেশী মরিয়ম কে বিয়ে করে বেশ সুখে শান্তিতেই ছিলেন। দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান নিয়ে চলছিল তাদের দাম্পত্য জীবন।
অপরদিকে হোসেনপুর উপজেলার কুড়িঘাটে এলাকায় বজ্রপাতে আহত হন আড়াইবাড়িয়া গ্রামের আবু বকর। স্থানীয়রা তাকে হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কর্মকর্তা ডা. তানভীর হাসান জিকো জানান, বজ্রপাতে আহত ব্যক্তি বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন।
উল্লেখ্য যে, গত ৫ বছরে কিশোরগঞ্জে ১৪ জন নারী সহ শতাধিক মানুষ বজ্রপাতে নিহত হয়। এর মধ্যে কৃষকের সংখ্যাই বেশি। এই মৃত্যুর সংখ্যা আনুপাতিক হারে প্রতিবছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জের হাওরে বজ্রপাতে ৪ জনের মৃত্যু
প্রাচীনকাল থেকেই এলাকার বিভিন্ন স্থানে বজ্রনিরোধক দন্ড স্থাপন করা আছে বলে ধারণা এলাকাবাসীর এছাড়াও নিজ উদ্যোগে অনেকে বজ্রনিরোধক দন্ড স্থাপন করে থাকেন। এই বজ্রনিরোধক দন্ড অনেক মূল্যবান মনে করে সমাজের কিছু নিকৃষ্ট মানুষ নামে পশু এসব দন্ড চুরি করে নিয়ে মানুষের জীবনকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে বলে জানান এলাকাবাসী।
এসডি/