ভাইবোনের ইচ্ছায় হেলিকপ্টারে চড়ে গ্রামে ফিরলেন ইতালি প্রবাসী


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫:০৮ পিএম, ১৫ই মে ২০২৫


ভাইবোনের ইচ্ছায় হেলিকপ্টারে চড়ে গ্রামে ফিরলেন ইতালি প্রবাসী
ইতালি প্রবাসী ইদ্রিস আলী। ছবি: প্রতিনিধি

দীর্ঘ ছয় বছর পর হেলিকপ্টারে চড়ে গ্রামে ফিরেছেন ইতালি প্রবাসী মো. ইদ্রিস আলী সিকদার।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বেলা সাড়ে ১১টার সময় শরীয়তপুর সদর উপজেলার বেড়া চিকন্দী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইদ্রিস আলী সিকদারকে বহনকারী হেলিকপ্টার অবতরণ করে।


আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস পালিত

হেলিকপ্টার দেখতে গ্রামের শত শত শিশু-কিশোর, নারী-পুরুষ বেড়া চিকন্দী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ভিড় জমান। হেলিকপ্টার অবতরণের সাথে সাথে তারা আনন্দ উল্লাসে ফেটে পড়েন। 


মো. ইদ্রিস আলী সিকদার বেড়া চিকন্দী গ্রামের হাজী এমদাদ আলী শিকাদারের ছেলে। ছয় ভাইয়ের মধ্যে ইদ্রিস দ্বিতীয়। ছয় ভাইদের মধ্যে বড় ভাই লিয়াকত আলী সিকদার ও ছোট ভাই আব্বাস সিকদার লন্ডন প্রবাসী। ইদ্রিস আলী সিকদার, সালাউদ্দিন সিকদার ও জামাল সিকদার এই তিন ভাই ইতালি প্রবাসী। সবার ছোট কামাল সিকদার মালয়েশিয়া প্রবাসী।


বড় ভাই লিয়াকত আলী সিকদারের হাত ধরেই প্রথম ২০০১ সালে ইতালি পাড়ি জমান ইদ্রিস আলী সিকদার। বর্তমানে তিনি স্ত্রী নাজমা আক্তার ও তিন ছেলে নিয়ে ইতালিতে বসবাস করছেন। সর্বশেষ ২০১৯ সালে তিনি দেশে এসেছিলেন। তিনি গ্রামে বাবা হাজী এমদাদ সিকদার ও মা ফুলমতির নামে একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়া তিনি এলাকার মসজিদ, মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে আর্থিক সহযোগিতা করে থাকেন। তার সুবাদে এই প্রথম বেড়া চিকন্দী গ্রামে হেলিকপ্টার নামতে দেখলেন এলাকাবাসী।


নিরব নামে বেড়া চিকন্দী উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্র আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের স্কুল মাঠে হেলিকপ্টার নামবে এটা কখনো আশা করিনি। ইতালি প্রবাসী ইদ্রিস আলী সিকদারের কারণে আজ আমাদের স্কুল মাঠে হেলিকপ্টার নামতে দেখলাম। এটা আমার কাছে খুব ভালো লাগছে।


ইদ্রিস আলী সিকদারের স্ত্রী নাজমা আক্তার বলেন, দেবর-ননদ সহ আমাদের সকলের ইচ্ছা ছিল তিনি হেলিকপ্টারে চড়ে গ্রামে আসবেন। এছাড়া তার নিজেরও ইচ্ছা ছিল যে তার নিজের গ্রামে হেলিকপ্টার নিয়ে যাবেন। তো সকলের ইচ্ছা পূরণ এবং এলাকার মানুষকে আনন্দ উৎসাহ দেওয়ার জন্যই তিনি আজ হেলিকপ্টার যোগে গ্রামে এসেছেন।


আরও পড়ুন: শরীয়তপুরের বিএনপির দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি, ১৪৪ ধারা জারি


ইদ্রিস আলী সিকদার বলেন, আমাদের পরিবারের সকলেরই ইচ্ছা ছিল হেলিকপ্টার নিয়ে গ্রামে আসা। বিশেষ করে এলাকার শিশু কিশোরদের কথা চিন্তা করে তাদের আনন্দ বিনোদন দেওয়ার জন্যই আজ আমার হেলিকপ্টার নিয়ে আসা। হেলিকপ্টার দেখে গ্রামের ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে সহ সকল বয়সী নারী-পুরুষ আনন্দ উল্লাস করেছে। এটা দেখে আমারও আনন্দ লেগেছে।


এসডি/