মির্জাপুরে ফজল হক হত্যার মামলায় ৪ জন গ্রেফতার হলেও বাকী আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৩৬ অপরাহ্ন, ২৭শে মে ২০২৫

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় শ্রমিকদল নেতা ফজল হক নিহতের আজ ১ মাস হলো। ফজল হক হত্যার ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হলেও বাকী আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ফলে ক্ষোভে ফুসছে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী। আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে ভুক্তভোগী পরিবার।
আরও পড়ুন: মির্জাপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নিহত ১
উল্লেখ্য,টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় শ্রমিকদল নেতা ফজল হক নিহত হন, তাঁর স্ত্রী মরিয়ম বেগম ও তার দুই ছেলে গুরুতর আহত হয়েছিল বলে জানা যায়।
গত ১ মাস আগে রবিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের বংশীনগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ফজল হক বংশীনগর গ্রামের মৃত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি বাঁশতৈল ইউনিয়নের শ্রমিকদল নেতা। তিনি পেশায় একজন ডেকোরেটর ব্যবসায়ী ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৪৫ বছর পূর্বে ফজল হকের দাদি বংশীনগর মৌজায় তার নামে ৫৫ শতাংশ জমি দলিল করে দেন। কিন্ত ওই জমিটি ভোগ দখল করছিলেন ফজল হকের ফুপাত ভাইয়ের ছেলে মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে পারভেজ। এদিকে ৪৫ বছর পূর্বের দলিল পেয়ে ফজল হক জমি দখল পেতে উদ্যোগ নেন।
তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মাতাব্বরদের নিয়ে একাধিক সালিশ বৈঠকও করেন। তাতে কোন সমাধান না পেয়ে সম্প্রতি আদালতে একটি মামলাও করেন। পরে জমির চারপাশে কাটা তারের বেড়া দিয়ে ঘেরাও দেন। অপরদিকে রবিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পারভেজ ৬০ থেকে ৭০ জন লোকসহ দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে ফজল হকের কাটা তারের ঘেরা উঠাতে গেলে ফজল হক বাধা প্রদান করেন।
এসময় পারভেজ ও তার সঙ্গে থাকা লোকজন ফজল হককে এলোপাথারি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। ফজল হকের আত্মচিৎকারে তার স্ত্রী মরিয়ম বেগম, ছেলে মনিরুজ্জামান এগিয়ে আসলে তাদেরও মারপিট করে আহত করেন পারভেজ ও তার লোকজন। আশপাশের লোকজন এসে গুরুতর অবস্থায় ফজল হক, তার স্ত্রী ও ছেলেকে উদ্ধার করে উপজেলাস্থ জামুর্কী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়।
আরও পড়ুন: মির্জাপুরে রাস্তা বন্ধ করে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রাচীর নির্মাণ,রাস্তার দাবিতে মানববন্ধন
সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফজল হককে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল যান। ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মরিয়ম আক্তার বাদি হয়ে প্রধান আসামি পারভেজসহ ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১৫-২০ জনের নামে মির্জাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রাশেদুল ইসলাম জানান,৪ জন আসামিকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং বাকী আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলমান রয়েছে।
এসডি/