স্ত্রীর মৃত্যু সহ্য করতে না পেরে জলন্ত চিতায় ঝাঁপ দিলেন স্বামী


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


স্ত্রীর মৃত্যু সহ্য করতে না পেরে জলন্ত চিতায় ঝাঁপ দিলেন স্বামী

একটি মর্মান্তিক ঘটনার স্বাক্ষী থাকল ভারতের উত্তরপ্রদেশের মহোবা জেলা। স্ত্রীর মৃত্যু শোক সহ‍্য করতে না পেরে স্ত্রীর চিতায় ঝাঁপ দিলেন স্বামী। গত সপ্তাহে জৈতপুর শহরের মহল্লা বাইপাসে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়। এদিকে স্ত্রীর অকাল মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি স্বামী। তাই শেষকৃত‍্যের সময়ে মৃতার স্বামী ব্রিজেশ জ্বলন্ত চিতায় ঝাঁপ দিয়েছেন। 

ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন তাঁকে উদ্ধার করেন। এই ঘটনায় ব্রিজেশ সামান‍্য দগ্ধ ও হয়েছেন। ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পৌঁছে যায় সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ। আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ব্রিজেশ। 

এদিকে স্ত্রী মৃত্যু শোকে হতভাগ‍্য স্বামীর এই কাজ চোখের কোণে জল এনেছে সবার। সমগ্র ঘটনায় অভিযোগের আঙুল তুলেছেন মৃতার বাড়ির লোকজন। এমনকি শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন ঐ মহিলার মা। আজনার থানার আকাউনা গ্রামের বাসিন্দা রামরতন তাঁর মেয়ে উমা (২৩) কে ২০১৬ সালে জৈতপুর শহরের বাসিন্দা ব্রিজেশ কুশওয়াহার সাথে বিয়ে দিয়ে ছিলেন। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে যে, যৌতুকের দাবিতে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে প্রায়ই মারধর করত। গত বৃহস্পতিবার রাত ঘরের মেঝেতে উনার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তখন তাঁর গলায় দোপাট্রা বাঁধা থাকায় ঘটনাটি সন্দেহজনক বলে মনে করা হচ্ছে। 

এ ব‍্যাপারে উনার মা তেজকুনওয়ার জানান, এক সপ্তাহ আগেই টাকার দাবিতে তাঁর মেয়েকে অত‍্যাচার করা হয়। এমনকি? জামাইকে বাড়িতে ডেকে পরিবারের সব সদস‍্যদের কাছ থেকে টাকা জমা করে মোট ৭০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয় বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

এ ব‍্যাপারে উমার স্বামী জানিয়েছেন, যৌতুকের দাবি সম্পূর্ন ভিত্তিহীন। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নায়েব তহসিলদার কুলপাহাড় পংকজ গৌতম পরিবারের সদস্যদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন এবং তাঁর উপস্থিতিই মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। 

জানা যায়, মৃতার তিন বছরের একটি ছেলে রয়েছে। তার নাম কামেশ। মায়ের মৃত্যুর পর নিষ্পাপ শিশুটি একেবারে মুচড়ে পড়েছে। 

অপরদিকে কোতোয়ালি ইনচার্জ উমেশ কুমার জানিয়েছেন যে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ফাঁসিকেই মৃত্যুর কারণ হিসেবে নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে এখনও তাঁদের কাছে এই ব‍্যাপারে কোনো অভিযোগ আসেনি বলে জানিয়েছেন তিনি।

এসএ/