রোগীর চাপ ও বিশ্ব পরিস্থিতি মিলিয়ে করোনা নিয়ে ভয়ের কিছু নাই
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫২ অপরাহ্ন, ১৬ই জুন ২০২৫

দেশজুড়ে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে ঠিকই, তবে তা এখনো আতঙ্ক সৃষ্টির মতো পর্যায়ে পৌঁছায়নি বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, রোগীর চাপ ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা নিয়ে দেখা যাচ্ছে, করোনা পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রয়েছে। পাশাপাশি ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার ইতোমধ্যেই বিশেষ টিম গঠন করেছে এবং গাইডলাইন হালনাগাদের কাজ চলছে।
সোমবার (১৬ জুন) রাজধানীর মহাখালীতে জাতীয় গ্যাস্ট্রো লিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, বর্তমানে আমরা তিনটি পৃথক পদ্ধতিতে করোনার নমুনা পরীক্ষা করছি। চিকিৎসার জন্য ডেডিকেটেড হাসপাতাল এবং ইউনিট স্থাপন করেছি। রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় আমাদের প্রস্তুতি পর্যাপ্ত।
আরও পড়ুন: পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই ডানা মেলছে বিমান বাংলাদেশ
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে করোনা রোগীর হার এবং পরীক্ষা-সংক্রান্ত তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, জনসাধারণের মধ্যে তেমন কোনো লক্ষণ নেই। ফলে এখনো করোনা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।
বরিশাল ও ঢাকা বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্তের হার তুলনামূলক বেশি। এর পেছনে স্থানীয় সরকারের মশক নিধন কার্যক্রমে ঘাটতির কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
কাউকে দোষারোপের জন্য বলছি না, তবে স্বীকার করতেই হবে যে, মশক নিধন কার্যক্রম প্রত্যাশিত মাত্রায় হয়নি বলেই এডিস মশার বিস্তার বেড়েছে— বলেন ডা. সায়েদুর। তিনি জানান, যেসব এলাকায় ডেঙ্গু সংক্রমণের হার বেশি, সেখানে ইতোমধ্যে স্পেশাল টিম কাজ শুরু করেছে এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে নতুন গাইডলাইন খুব শিগগিরই প্রকাশ করা হবে।
এদিন পরিদর্শনের অংশ হিসেবে তিনি প্রথমে জাতীয় গ্যাস্ট্রো লিভার ইনস্টিটিউটে যান এবং প্রতিষ্ঠানটির চিকিৎসাসেবা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ঘিরে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: ঈদযাত্রার ১৫ দিনে সড়কে ঝরল ৪২৭ প্রাণ
এখানে আধুনিক অনেক ব্যবস্থাপনা রয়েছে। রোগীদের সেবার মান নিয়েও তারা সন্তুষ্ট। আমরা লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্টের পরিকল্পনার কথাও শুনলাম। প্রয়োজনীয় জনবল ও সরঞ্জাম আছে কি না, সার্জনদের সঙ্গে কথা বলেছি— জানান ডা. সায়েদুর রহমান।
অন্যদিকে জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ঘিরে তিনি কিছু দুর্বলতার কথাও তুলে ধরেন। ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, এই প্রতিষ্ঠানটি দেশের সবচেয়ে পুরোনো হলেও কাঠামোগত দুর্বলতা এখনো রয়ে গেছে। পুরোনো ভবনগুলো পুনর্গঠন ও সম্প্রসারণ দরকার। জনবল ঘাটতিও প্রকট।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে চারটি বিসিএসে প্রায় ৬ হাজার ৮০০ চিকিৎসক নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আশা করি, এসব জনবল স্বাস্থ্যখাতের বিভিন্ন সংকট নিরসনে ভূমিকা রাখবে।
এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
এমএল/
বিজ্ঞাপন
পাঠকপ্রিয়
আরও পড়ুন

সচিবালয়ে আবারও বিক্ষোভ, কঠোর কর্মসূচির হুমকি

এসএসএফের প্রশিক্ষণ, অস্ত্র ও সরঞ্জাম আধুনিকায়নের প্রক্রিয়া চলমান

ঢাকায় আবারও অস্ট্রেলিয়ার ভিসা কার্যক্রম চালু, কৃতজ্ঞতা প্রধান উপদেষ্টার

৪০০ বাংলাদেশি ঝুঁকিতে তেহরানে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
