খেলাধুলা ও ক্রীড়াঙ্গন রাজনীতি মুক্ত থাকা উচিত : মির্জা ফখরুল

স্বৈর শাসকের বিরুদ্ধে ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানে অনেক প্রাণ গেছে। ছাত্র জনতার এ অভ্যুত্থানে আমাদের একটা নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া হয়েছে, গণতান্ত্রিক একটা পরিবেশ সৃষ্টি করবার জন্য। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন করবার জন্য। ঐক্যবদ্ধভাবে ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তুলবার জন্য যে পরিবেশটি সৃষ্টি করা হয়েছে সেজন্য ছাত্র জনতার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আরও পড়ুন: তারেক রহমানের দেশে ফেরার নেপথ্যে নিরাপত্তা ও নির্বাচন

শুক্রবার (২০ মে) বিকেলে শহরের শহীদ মোহাম্মদ আলী স্টেডিয়ামে মির্জা রুহুল আমিন স্মৃতি টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব মন্তব্য করেন তিনি।

মির্জা আলমগীর বলেন, গত ১৫ বছরে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নতুন যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তাতে দল মত নির্বিশেষে সকল প্রতিষ্ঠান সহ দেশ ও দেশের ক্রিড়াকে গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদেরই নিতে হবে।

তিনি বলেন, এ দেশটা আমার, আমাদের। বক্তৃতার মঞ্চে চলে গেছি অনেক আগেই । আমার জগতটা এখন রাজনীতিতে। আমি  খেলার মধ্যে রাজনীতি আনার পক্ষে ছিলামনা। আমি কখনই ক্রিড়াঙ্গণ ও রাজনীতিকে এক করতে চাইনা। খেলাধুলা ও ক্রিড়াঙ্গণ রাজনীতি মুক্ত থাকা উচিৎ।

আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়াতে সরকারকে তারেক রহমানের আহ্বান

এই স্টেডিয়ামে চমৎকার একটি পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। একসময় আমিও খেলতাম। আমার সুযোগ হয়েছিল ক্রিকেট বোর্ডের সদস্য হওয়ার। দেশ ও দেশের বাইরের বড় বড় খেলোয়াড়রা এ মাঠে খেলা করেছেন। স্টেডিয়ামে জোনাল ও জাতীয় দলের খেলার আয়োজন করতে হবে। এতে ক্রিকেটের মান ও খেলার মান বাড়বে।

এসময় টুর্নামেন্টের আহবায়ক নুর-ই শাহাদাত স্বজন,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোস্তফা সরদার শাহীন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন ও আয়োজক কমিটি, টিম ম্যানেজম্যান্টসহ সুধীজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

এসডি/