অঝোরে কাঁদলেন তারেক রহমান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৮ অপরাহ্ন, ১লা জুলাই ২০২৫

স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার আমলে গুমের শিকার ছাত্রদল নেতা পারভেজের কন্যা নিধি। কিশোরী মেয়েটি বাবাকে দেখে না অনেক বছর হলো। তার বক্তব্য শুনে অঝোরে কাঁদলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
মঙ্গলবার (০১ জুলাই) জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে শহীদ পরিবারের সম্মানে বিএনপি আয়োজিত বিশেষ আলোচনা সভায় এমনই দৃশ্যের সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপির জাতীয় ঐক্য অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি খালেদা জিয়া
‘জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ অনুষ্ঠানে নিজের আকুতি তুলে ধরেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে গুম হওয়া বংশাল থানা ছাত্রদল নেতা পারভেজ হোসেনের কিশোরী মেয়ে আদিবা ইসলাম হৃদি জানান, বাবাকে দেখে না সে অনেক বছর। তার ছোট্ট ভাইটিও দেখতে পায় না তার বাবাকে। এখন তার একটাই প্রশ্ন, সে আর তার ভাই তাদের বাবাকে আদৌ আর কোনোদিন জড়িয়ে ধরতে পারবে কি না?
তার কান্নাভেজা এমন প্রশ্নে পুরো সম্মেলন কেন্দ্র কিছু সময়ের জন্য থমকে যায়। অনেকের সঙ্গে এ সময় চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি তারেক রহমানও। হৃদির বক্তব্যের পুরোটা সময় জায়ান্ট স্ক্রিনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে চশমার ফাঁক দিয়ে বারবার চোখ মুছতেও দেখা যায়। বাবাকে ফেরত পেতে এই মুহূর্তে হৃদির জন্য কিছু করতে না পারলেও চোখ থেকে পানি ফেলে কষ্ট ভাগাভাগি করেন তার সঙ্গে।
আরও পড়ুন: শহীদ আবু সাঈদের মায়ের দোয়া নিয়ে এনসিপির জুলাই পদযাত্রা শুরু
সভায় হৃদি ছাড়াও সারা দেশ থেকে আসা নির্যাতিত ব্যক্তি ও তাদের স্বজনরা কষ্ট ও ভোগান্তির গল্পগুলো একে একে তুলে ধরেন। তারা জানান, স্বজন হারানোর বেদনার সঙ্গে আর্থিক অভাব-অনটন, সন্তান আর তার ভবিষ্যতের চিন্তা তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে ভুক্তভোগীদের।
অনুষ্ঠানে জুলাই আন্দোলনে চট্টগ্রামের প্রথম শহীদ ওয়াসিম আকরামের বাবা শুধু নিজের সন্তানের কথাই বলেননি, তুলে ধরেন অন্য শহীদদের অভিভাবকের বাস্তব কষ্টও। রাষ্ট্রের কাছে শহীদ পরিবারগুলোর দাবি, বিচারের মুখোমুখি করা হোক নৃশংস হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের।
এমএল/