ফ্যাসিবাদের দেখেও যাদের শিক্ষা হয়নি তাদের পরিণতিও একই হবে: নাহিদ


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭:৫৭ অপরাহ্ন, ৭ই জুলাই ২০২৫


ফ্যাসিবাদের দেখেও যাদের শিক্ষা হয়নি তাদের পরিণতিও একই হবে: নাহিদ
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ফ্যাসিবাদের পতন দেখেও যাদের শিক্ষা হয়নি তাদের পরিণতিও একই হবে।


‎সোমবার (০৭ জুলাই) বিকেলে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’র সপ্তম দিনে নাটোর শহরের মাদরাসা মোড় স্বাধীনতা চত্বরে এক পথসভায় এ কথা বলেন তিনি।


এ সময় নাহিদ ইসলাম বলেন, মাত্র এক বছর আগে যারা ব্যানার ছিড়ে, কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে চেয়েছিল, বাংলাদেশের মাটিতে আজকে তাদের ঠাঁই হয়নি। স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদের পতন দেখেও যাদের শিক্ষা হয়নি তাদের পরিণতিও একই হবে।


আরও পড়ুন: নির্বাচিত সরকারের চেয়ে কোনো সরকার শক্তিশালী হতে পারে না : মির্জা ফখরুল


‎গণঅভ্যুত্থানে শহীদের স্মরণ করে নাহিদ বলেন, গণঅভ্যুত্থানে আমার ভাই-বোন শহীদ হয়েছে। তাদের সবার শহীদি মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে। তাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি থাকতে হবে। সেজন্য প্রয়োজন আমাদের জুলাই সনদ। যে সমস্থ মানুষ গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছিল, তাদের জুলাই সনদ ও স্বীকৃতি দিতে হবে। সেজন্য আমরা কোনো ধরনের টালবাহানা ও ষড়যন্ত্র মেনে নেব না।


এনসিপি আহ্বায়ক বলেন, ফ্যাসিবাদ সরকারের পতন হলেই হবে না, দেশ সংস্কারের মাধ্যমে নতুনভাবে বাংলাদেশ গঠন করতে হবে। আপনারা আস্থা রাখুন। যেভাবে গণঅভ্যুত্থানে আমরা আপোস করিনি, দেশ গঠনের এ যাত্রাতেও আমরা আপোস করব না। আপনাদের অধিকারের জন্য আমরা রাজপথে থাকবো। আমরা বিশ্বাস করি, যেভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছিলাম। সেই একইভাবে আমরা দেশ গঠন করব।


আরও পড়ুন: ফেসবুকে ক্ষোভ ঝাড়লেন ইশরাক, প্রশ্ন তুললেন দলীয় নীতিতে


নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, আমরা এতদিন উন্নয়নের গল্প শুনেছি, নাটোরে এসে দেখি কিছু নেই। কোনো ভালো কলেজ নেই, গ্যাস নেই। নাটোরে আমরা শক্তিশালী নেতৃত্ব পেতে যাচ্ছি। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ নাটোরের মাটি থেকে চিরতরে নির্মৃল করতে পারব।


‎দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদস্য সচিব আখতার হোসেন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, নাটোর জেলার প্রধান সমন্বয়কারী এস এম জার্জিস কাদিরসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা।


এমএল/