ফেসবুকে ক্ষোভ ঝাড়লেন ইশরাক, প্রশ্ন তুললেন দলীয় নীতিতে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০৯ অপরাহ্ন, ৭ই জুলাই ২০২৫

নাম প্রকাশ না করে এক ছাত্র নোতার বক্তব্যে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন বিএনপি নেতা ইশারক।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের মাধ্যমেই সঠিক পথে এগিয়ে যাবে দেশ: মির্জা ফখরুল
সোমবার (৭ জুলাই) সকালে দেওয়া সেই পোস্টে বিএনপি এ নেতা লিখেছেন, কোনো একজন ছাত্রনেতা জেলা পর্যায়ে সফর/মার্চ করার সময় লোকজন ও উৎসুক জনতাকে দেখে উত্তেজনা সামলাতে না পেরে ‘১৬ বছরের সঙ্গে ৭ মিনিটের এক উক্তি’ করেছেন। অথচ ৫ আগস্টের পর তিনি সহনশীলতা ও সহঅবস্থানের গণতান্ত্রিক রাজনীতির নীতিকথা শুনিয়ে জনগণকে জ্ঞান দিয়েছেন—একই ব্যক্তি।
‘ক্ষণে ক্ষণে অবস্থান পরিবর্তন করে, নিজেদের সবচেয়ে বড় শক্তি—যাকে খুঁটি, সহায়ক কিংবা সমর্থক যেভাবেই বলা হোক—তাদের উদ্দেশ্য করে যদি এই ‘১৬ ও ৭ মিনিটের উক্তি’ দেওয়া হয়, তাহলে ওনাকে মনে করিয়ে দিতে হবে, আমরা আপনাদের প্রতিপক্ষ নই; বরং উপরোক্ত সহায়ক শক্তিই।’
তিনি আরও লিখেছেন, গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে ‘হাসিনা খেদাও, হাসিনা পতন’-এর একদফা আকাঙ্ক্ষা থেকে। যেভাবে আওয়ামী লীগ ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধকে নিজেদের একচেটিয়া সম্পত্তিতে পরিণত করেছিল, আপনি যদি ২০২৪ সালের আন্দোলনের কৃতিত্বও নিজেদের একক অর্জন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চান, তবে বলব—তরুণ প্রজন্মের একজন রাজনীতিবিদের কাছ থেকে এতটুকু প্রত্যাশা করা নিশ্চয়ই বাড়াবাড়ি নয়।
‘রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়ার সময় আমরা অনেক সময় কিছু কথা বলে ফেলি—যা হতেই পারে। কিন্তু এই বক্তব্যটি সরাসরি অপমান ও চরম অসম্মানজনক সেইসব শহীদদের আত্মার প্রতি, যারা এই দীর্ঘ আন্দোলনে প্রাণ দিয়েছেন। অত্যাচারিত অন্যদের কথা নাই বললাম।’
ইশরাক হোসেন আরও বলেন, গুম অথবা খুনের শিকার ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম, সুমন, পারভেজ, সোহেল, সম্রাট, সুজন, জনি, চঞ্চল, জাকির, বুলবুল, নুরু—তাদের মতো ঢাকার ছাত্র ও যুবনেতাদের চূড়ান্ত ত্যাগকে আপনি তাচ্ছিল্য করছেন। ঢাকার বাইরের নাম আর উল্লেখ করলাম না। সেই ভোলার নুরে আলম, আব্দুর রহমান কিংবা মুন্সীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জের শাওনের পরিবারের কাছেও কি আপনি একই ‘ডায়ালগ’ দেবেন?
আরও পড়ুন: শহীদ মুত্তাকিনের অসুস্থ স্ত্রী’র, খোঁজ নিলেন তারেক রহমান
‘সব কৃতিত্ব জোর করে নিজের নামে দাবি করা ‘দেউলিয়াপনার রাজনীতি’র অন্তিম পরিণতি এক বছর আগেই আমরা দেখেছি। আমরা কোনো অবস্থাতেই শহীদদের প্রতি এই ধরনের অবমাননাকর মন্তব্য আর শুনতে চাই না। শুধু শহীদ নয়—যারা আহত, পঙ্গু হয়ে গেছেন, যারা অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে শরিক হয়েছেন—তাদের চেয়ে নিজেকে শ্রেষ্ঠ ভাবলে জনগণ তা মানবে না। আর ধৈর্যচ্যুতি ঘটলে জনগণ আপনাকে ছুড়ে ফেলতেও বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করবে না।’
এসডি/