প্রধান বিচারপতি নিয়োগ সংক্রান্ত দুই বিষয়ে একমত হয়েছে দলগুলো
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৫ অপরাহ্ন, ১০ই জুলাই ২০২৫

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। সংলাপে অংশ নেওয়া ৩০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রধান বিচারপতি নিয়োগে দুইটি বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের ১১তম দিনের আলোচনা সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, প্রধান বিচারপতি নিয়োগে সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদের বিদ্যমান ব্যবস্থা পরিবর্তন এবং রাষ্ট্রপতির জন্য আপিল বিভাগের বিচারপতিদের মধ্য থেকেই প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিধান বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে সবাই একমত হয়েছেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে সংবিধানে এমন বাধ্যবাধকতা নেই। তবে, জ্যেষ্ঠতম বিচারপতিকে নিয়োগ দেয়া হবে নাকি জ্যেষ্ঠ দুইজনের মধ্য থেকে কাউকে নির্বাচন করা হবে, এ বিষয়ে এখনো দ্বিমত রয়েছে। তাই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলবে বলে জানান তিনি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাও আলোচনায় উঠে এসেছে। তিনি বলেন, এই ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলো যে প্রস্তাব দিয়েছে তা খানিকটা অগ্রগতি হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক প্রধানকে নিয়োগ করার ক্ষেত্রে আইনসভার মধ্য থেকে প্রস্তাব করা বা নিয়োগের ব্যবস্থা করা এটাই জাতীয় ঐকমত্য কমিশন থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আজকে এই বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে মতামত পাওয়া গিয়েছে। এই মতামতের ভিত্তিতে আরও সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব মতামত টেবিলে আছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য আছে। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল চায় তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা এমন হোক যা ত্রুটিহীন হয়। দীর্ঘদিনের আন্দোলন সংগ্রামের যাতে প্রতিফলন হয়। ভবিষ্যতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিতর্কের মধ্যে না পড়ে।
জরুরি অবস্থা সংক্রান্ত সংবিধানের ১৪১(ক) অনুচ্ছেদ নিয়েও আলোচনা হয়। অধ্যাপক রীয়াজ বলেন, ৭ জুলাইয়ের আলোচনায় জরুরি অবস্থা যেন রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত না হয় এবং ১৪১(ক) অনুচ্ছেদের সংশোধনের বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছিল। আজকের আলোচনায় ‘অভ্যন্তরীণ গোলযোগ’ শব্দটি বাতিল করে এবং জরুরি অবস্থার ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরের পরিবর্তে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের মাধ্যমে দেয়ার বিধান সংযুক্ত করার প্রস্তাব উঠে আসে। এ বিষয়ে আলোচনা চলবে বলে জানান তিনি।
আলোচনায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) সহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
এসডি/
বিজ্ঞাপন
পাঠকপ্রিয়
আরও পড়ুন

চারদিনের সফরে ঢাকায় বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট

চাঁদাবাজি নয়, ভাঙারি দোকানের ব্যবসার দ্বন্দ্বেই মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড: পুলিশ

ফেনীর বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে দুর্যোগ ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম

চন্দনাইশের ‘স্বপ্ন বিলাশ’-এর স্বপ্ন সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে: ফরিদা আখতার
