ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র সরবরাহের দিকে নজর রাখছে রাশিয়া
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১২:২৬ পূর্বাহ্ন, ১৭ই জুলাই ২০২৫

ক্রেমলিন জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ পুনরায় শুরুর ঘোষণা দেওয়ার পর, রাশিয়া বিষয়টি ‘ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ’ করছে।
বুধবার (১৭ জুলাই) রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এক বিবৃতিতে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র সহায়তা ও ইউক্রেন যুদ্ধের সাম্প্রতিক গতিপথ নিয়ে মস্কো সবসময় সজাগ দৃষ্টি রাখছে।
পেসকভ আরও জানান, ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে নতুন কোনো ফোনালাপের পরিকল্পনা এখনো নেই, তবে প্রয়োজন হলে তা দ্রুত আয়োজন করা সম্ভব।
আরও পড়ুন: সিরিয়ার সেনা সদরদপ্তরে ভয়াবহ হামলা ইসরায়েলের
মাত্র দুই দিন আগেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার প্রতি এখন পর্যন্ত তার সবচেয়ে কঠোর বার্তা দেন। তিনি বলেন, আগামী ৫০ দিনের মধ্যে (সেপ্টেম্বরের শুরুতে) পুতিনকে একটি শান্তিচুক্তি গ্রহণ করতে হবে, না হলে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার ওপর সেকেন্ডারি ট্যারিফ আরোপ করবে।
এর মাধ্যমে রাশিয়ার বাণিজ্য অংশীদারদের টার্গেট করা হবে। ট্রাম্পের ভাষায়, এর মাধ্যমে রাশিয়াকে গ্লোবাল ইকোনমি থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, আমার সঙ্গে পুতিনের যখন কথোপকথন হয় তখন তিনি খুব সুন্দর করেই কথা বলেন। কিন্তু পরক্ষণেই প্রতিদিন সন্ধ্যায় (ইউক্রেনে) মিসাইল হামলা করেন।
তিনি জানান, এ পর্যন্ত ছয়বার ফোনে কথা এবং একাধিকবার রাশিয়া-ইউক্রেন-যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠক হলেও যুদ্ধবিরতির কোনো অগ্রগতি হয়নি।
আরও পড়ুন: লেবাননে ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত অন্তত ১২
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের প্রকাশ্য হুমকির পরেও রাশিয়া আপাতত ‘শান্ত থাকো ও চালিয়ে যাও’ নীতিতে অটল রয়েছে। তাদের মতে, এই চাপ আদৌ পুতিনকে যুদ্ধ বন্ধ করতে বাধ্য করবে কি না, তা এখনো পর্যন্ত অনিশ্চিত।
উল্লেখ্য, গত নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে প্রচারণায় ট্রাম্প বারবার বলছিলেন, ক্ষমতায় ফিরলেই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করবেন। কিন্তু কূটনৈতিকভাবে এখন পর্যন্ত তার সেই প্রতিশ্রুতি পূরণের কোনো কার্যকর অগ্রগতিই লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
এমএল/