আ. লীগ-বিএনপি হিন্দুদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে: ড. গোবিন্দ


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:৫০ অপরাহ্ন, ১৯শে জুলাই ২০২৫


আ. লীগ-বিএনপি হিন্দুদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে: ড. গোবিন্দ
ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিরুদ্ধে হিন্দু সম্প্রদায়কে বঞ্চনা ও প্রতারণার অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব ডক্টর গোবিন্দচন্দ্র প্রামাণিক। তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে একটি আদর্শিক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে উল্লেখ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা ও পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের দাবি জানান।


শনিবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে এসব বলেন ড. গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক।


তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের কাছে রাজনৈতিক ভাবে বন্দি হিসেবে ছিলাম। ১৯৫৪ সালে যেদিন আওয়ামী লীগ গঠন হয়েছে, সেদিনই তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব অস্বীকার করে। প্রতিনিধিত্বকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্য নিয়েই আওয়ামী লীগ গঠন হয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে তারা প্রতারণা করেছে।


আরও পড়ুন: বক্তব্য দিতে দিতে মঞ্চেই পড়ে গেলেন জামায়াত আমির


দেশের বর্তমান পরিস্থিতি, যেমন চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও টেন্ডারবাজির জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেন জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব।


জামায়াতে ইসলামীকে শুধু একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে নয়, বরং একটি ইউনিভার্সাল ইউনিভার্সিটি হিসেবে উল্লেখ করে ড. গোবিন্দ বলেন, আপনারা এখানে আসেন, শিক্ষা লাভ করেন। নীতিশিক্ষা নেন, আদর্শ শিক্ষা নেন এবং কীভাবে ধর্ম অনুযায়ী দেশ ও নিজের জীবন পরিচালনা করা যায় আপনারা সেই শিক্ষা লাভ করেন।


তিনি সমাবেশে উপস্থিত জনতাকে আশ্বস্ত করেন, জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে অংশগ্রহণের কারণে তাদের জীবন ধন্য হবে, এমনকি যদি রাজনৈতিক ক্ষমতা নাও থাকে।


আরও পড়ুন: আগে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড, তারপর নির্বাচন: নুরুল হক নুর


নির্বাচনের বিষয়ে ড. গোবিন্দ বলেন, আমরা বলতে চাই একবার ফ্যাসিবাদ বিদায় হয়েছে। আবার কোনোদিন আমরা এই ফ্যাসিবাদ চাই না। এখানে জুলাই আন্দোলনের শহীদ পরিবারের সদস্যরা আছেন। যদি এই দেশে পিআর সিস্টেম ছাড়া নির্বাচন হয় তাহলে আবার ফ্যাসিবাদ আসবে। আবার আপনাদের এই ফ্যাসিবাদ সরানোর জন্য জীবন দিতে হবে। রক্ত দিতে হবে।


তিনি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য এক দফা পৃথক নির্বাচন এবং পিআর পদ্ধতি ছাড়া কোনো নির্বাচন না করার দাবি জানান।


এমএল/