উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত : বার্ন ইনস্টিটিউটে রক্ত দিতে মানুষের ঢল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৪৬ অপরাহ্ন, ২১শে জুলাই ২০২৫

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দেশজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় বহু শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ আহত হয়েছেন। দগ্ধদের মধ্যে অন্তত ৫০ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের জীবন রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে প্রচুর পরিমাণে রক্তের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।
দুর্ঘটনার পর থেকেই আহতদের রক্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে ঢল নেমেছে রক্তদাতাদের। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ ছুটে আসছেন রক্ত দিতে। হাসপাতাল চত্বরজুড়ে তৈরি হয়েছে রক্তদাতাদের দীর্ঘ সারি—এক অনন্য মানবিকতার চিত্র।
বার্ন ইনস্টিটিউট সূত্র জানায়, আহতদের মধ্যে অনেকের শরীরের ৫০ শতাংশের বেশি অংশ পুড়ে গেছে। এদের মধ্যে সাতজন শিশু আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে, আর গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন আরও অন্তত ১২ জন। আহতদের জীবন বাঁচাতে প্রতিটি মুহূর্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
রক্তদাতা আশরাফুল ইসলাম নামের একজন জানান, "সংবাদ দেখে আর ঘরে বসে থাকতে পারিনি। সঙ্গে স্ত্রীকেও এনেছি। সে 'O' পজিটিভ, আমি 'B' নেগেটিভ—যার যেখানে দরকার, আমরা রক্ত দিতে রাজি আছি।"
রক্তের সবচেয়ে বেশি সংকট দেখা দিয়েছে নেগেটিভ ব্লাড গ্রুপগুলোতে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও রক্তের আবেদন ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী, বিভিন্ন রক্তদাতা সংগঠন ও সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিচ্ছেন এই উদ্যোগে।
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের বাইরে এক মানবিক দৃশ্য unfolding হতে দেখা গেছে—বিপদের মুহূর্তে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চিরাচরিত বাঙালি ঐতিহ্যের এক অনন্য উদাহরণ।
আপনিও যদি রক্ত দিতে চান, যোগাযোগ করুন নিকটস্থ ব্লাড ব্যাংক বা বার্ন ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে।
বিজ্ঞাপন
পাঠকপ্রিয়
আরও পড়ুন

উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত: জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে আরও দুজনের মৃত্যু

দগ্ধ শরীর নিয়ে ২০ শিশুকে বাঁচিয়ে না ফেরার দেশে শিক্ষিকা মাহেরীন

সাত জনের মরদেহ শনাক্তে লাগবে ডিএনএ টেস্ট: আইএসপিআর

মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত: আগুন থেকে বেঁচে ফেরা শিক্ষকের ভয়াবহ বর্ণনা
