আমরা গাজাকে আরব শক্তির হাতে তুলে দিতে চাই: নেতানিয়াহু


Janobani

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১২:২১ পিএম, ৮ই আগস্ট ২০২৫


আমরা গাজাকে আরব শক্তির হাতে তুলে দিতে চাই: নেতানিয়াহু
ছবি: সংগৃহীত

দেশে ও বিদেশে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এতকিছুর  পরও সামরিকভাবে গাজার দখল নিতে চান তিনি।


বৃহস্পতিবার (০৭ আগস্ট) ফক্স নিউজে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনই মন্তব্য করেছেন নেতানিয়াহু।


তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদে নয়, সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শেষে অঞ্চলটি একটি বেসামরিক প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হবে। যারা ‘ইসরায়েল ধ্বংসে’ উৎসাহী নয়। যদিও কার হাতে শাসন তুলে দেওয়া হবে।


আরও পড়ুন: এবার নিজেদের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানীকেই ফাঁসিতে ঝোলাল ইরান


তিনি আরও বলেন, আমরা গাজা থেকে হামাসকে উৎখাত করতে চাই। তবে আমরা গাজা নিজেদের কাছে রাখতে চাই না। আমরা সেখানে একটি নিরাপত্তা বেষ্টনী চাই, কিন্তু শাসন করতে চাই না। আমরা এমন আরব শক্তির হাতে গাজাকে তুলে দিতে চাই, যারা সঠিকভাবে শাসন করতে পারবে, আর আমাদের জন্যও হুমকি হবে না।


নেতানিয়াহুর এমন বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে হামাস। তারা বলছে, ইসরায়েলি নেতার আসল উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয়েছে। যুদ্ধবিরতির চূড়ান্ত চুক্তির একদম কাছাকাছি পৌঁছেও নেতানিয়াহুর পিছু হটা আর এমন ঘোষণা প্রমাণ করে গণহত্যাই তার আসল উদ্দেশ্য। নিজ স্বার্থে নেতানিয়াহু জিম্মিদের জীবন বিপন্ন করছেন বলেও অভিযোগ করে হামাস।


এদিকে নেতানিয়াহুর পরিকল্পনা প্রসঙ্গে ইসরাইলি সেনাপ্রধান সতর্ক করে ইয়াল জামির বলেছেন, গাজা পুরোপুরি দখল করতে গেলে ইসরাইলি সেনারা সেখানে আটকে পড়বে, সেইসঙ্গে অবশিষ্ট জিম্মিদের জীবন হুমকিতে পড়বে।


আরও পড়ুন: এবার নিজেদের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানীকেই ফাঁসিতে ঝোলাল ইরান


নেতানিয়াহুর এ ঘোষণার তীব্র সমালোচনা করেছেন ইসরাইলের বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ার লাপিদও। তার ভাষ্য, নেতানিয়াহুর এ প্রস্তাব মানে আরও যুদ্ধ, আরও জিম্মির মৃত্যু, সেই সঙ্গে অঢেল অর্থের অপচয় ঘটবে।


অন্যদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদরোস গেব্রেয়াসুস জানিয়েছে, জুলাই মাসে গাজায় ১২ হাজারের বেশি শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগেছে, যার মধ্যে আড়াই হাজার শিশু গুরুতর অবস্থায় রয়েছে। এক মাসেই অনাহারে মারা গেছে ৫ বছরের নিচে ২৯ শিশু। ইসরায়েলের বাধায় খাদ্য সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় এই সংকট চরমে পৌঁছেছে বলে জানায় সংস্থাটি।


এমএল/