হালাল শিল্প পার্ক স্থাপনে মালয়েশিয়ার সহায়তা চায় বাংলাদেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৩৮ পিএম, ১৩ই আগস্ট ২০২৫

বাংলাদেশ ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক হালাল পণ্যের বাজারে অংশগ্রহণ বাড়াতে হালাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক স্থাপনের জন্য মালয়েশিয়ার সহায়তা প্রার্থনা করেছে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) কুয়ালালামপুরের এক হোটেলে দেশটির হালাল শিল্পের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বৈঠকে বলেন, “চলুন, এ বিষয়ে আমরা এগিয়ে যাই।
মালয়েশিয়ার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের হালাল বিষয়ক সমন্বয়কারী দাতিন পদুকা হাজাহ হাকিমাহ বিনতি মোহাম্মদ ইউসুফ।
এছাড়া বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট বিভাগের (জাকিম) মহাপরিচালক সিরাজুদ্দিন বিন সুহাইমি এবং হালাল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের (এইচডিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হাইরোল আরিফাইন সাহারি।
প্রধান উপদেষ্টাকে কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে বৈশ্বিক হালাল পণ্যের বাজার প্রায় ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এটি ৫ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে। মালয়েশিয়ার অন্তত ১৪টি হালাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক রয়েছে, যা বাজারের একটি বড় অংশ দখল করছে। প্রধান প্রতিযোগীদের মধ্যে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো, থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড।
বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যদি অবকাঠামো ও সনদ প্রদানের সক্ষমতা বাড়াতে পারে, তবে এই বাজারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। বর্তমানে বাংলাদেশে একমাত্র ইসলামিক ফাউন্ডেশন হালাল সনদ প্রদান করে এবং এ পর্যন্ত মাত্র ১২৪টি প্রতিষ্ঠান এই সনদ অর্জন করেছে।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন মালয়েশিয়াকে অনুরোধ করেন, বাংলাদেশের হালাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় চাহিদা চিহ্নিত করতে সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, ‘একসঙ্গে কাজ করে হালাল শিল্প গড়ে তোলার জন্য যা যা প্রয়োজন, তার রূপরেখা তৈরি করা সম্ভব। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলো হালাল সনদপ্রাপ্ত পণ্য রপ্তানিতে আগ্রহী।’
ড. ইউনূস বৈঠকটিকে শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতা হিসেবে বর্ণনা করেন এবং বলেন, ‘ধন্যবাদ আপনারা যে জ্ঞান শেয়ার করেছেন—এ যেন হালাল পণ্যের উপর একটি ক্লাস।’
সিরাজুদ্দিন বিন সুহাইমি জানান, বাংলাদেশের প্রয়োজনীয়তা মূল্যায়ন করার জন্য মালয়েশিয়া শিগগিরই একটি দল পাঠাবে।
বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোর্শেদও উপস্থিত ছিলেন।
এসএ/