হাজারো শিক্ষক প্রেস ক্লাবের সামনে, তোপখানা রোডে যান চলাচল বন্ধ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪২ পিএম, ১৩ই আগস্ট ২০২৫

এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে সারাদেশ থেকে আসা হাজারো শিক্ষক জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হয়েছেন। এর ফলে তোপখানা রোডের উভয় দিকের যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। শিক্ষকরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এলাকা ছাড়বেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল থেকে সচিবালয়ের মোড় থেকে কদম ফোয়ারা পর্যন্ত শিক্ষকরা অবস্থান নেন। প্রেস ক্লাবের সামনের সড়ক বন্ধ থাকায় যানবাহনগুলোকে বিকল্প পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
সমাবেশের আয়োজন করেছে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট।
সিলেটের কানাইঘাট থেকে আসা শিক্ষক আলী রহমান বলেন, ‘বারবার আশ্বাস নিয়ে ফিরে গেছি। এবার আর শুধু আশ্বাসে কাজ হবে না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এখানেই থাকব।’
সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০১৮ সালের আন্দোলনের পর সরকার ৫% বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ও ২০% বৈশাখী ভাতা চালু করেছিল এবং জাতীয়করণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু তা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।
আরও পড়ুন: ঢাকার সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলার রেল যোগাযোগ বন্ধ
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আলোচনায় শিক্ষা উপদেষ্টা বৈষম্য নিরসনের আশ্বাস দিয়েছিলেন। এ বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ২২তম দিনে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে উৎসব ভাতা ২৫% বৃদ্ধি এবং বাজেটে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ও শ্রান্তি-বিনোদন ভাতা কার্যকর করার ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে বাজেটে বরাদ্দ থাকলেও এখনও প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি। এজন্য জোট ১০ আগস্টের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানিয়েছিল এবং অন্যথায় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমরা এই দাবিগুলো জানিয়ে আসছি। ২০১৮ সালের সরকারের প্রতিশ্রুতি এখনো পূরণ হয়নি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টাও আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন, কিন্তু বাস্তবায়নের কোনো সুনির্দিষ্ট অগ্রগতি দেখা যায়নি। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার মূল চালিকাশক্তি। অথচ বছরের পর বছর আমরা বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আমরা একযোগে দাবি তুলে ধরব এবং প্রয়োজনে সচিবালয় পর্যন্ত পদযাত্রা করব। এটি শুধু একটি কর্মসূচি নয়, বরং ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রাম। আমরা চাই সরকার অবিলম্বে প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয়করণের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দিক। যদি এবারও দাবি পূরণ না হয়, তবে আরও বৃহত্তর ও কঠোর কর্মসূচি নিতে বাধ্য হব।’
এসএ/