চর সাড়াশিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় পুনঃ স্হাপনের দাবিতে মানববন্ধন


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮:৫২ পিএম, ২১শে আগস্ট ২০২৫


চর সাড়াশিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় পুনঃ স্হাপনের দাবিতে মানববন্ধন
ছবি: প্রতিনিধি।

পাবনার বেড়া উপজেলার হাটুলিয়া নাকালিয়া ইউনিয়নের ১৯ নং চর সাড়াশিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় পুনঃস্হাপনের দাবিতে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও জনসাধারণের অংশগ্রহণে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। 


বৃহস্পতিবার (২১ আগষ্ট) দুপুর ২টায় চর সাড়াশিয়ায় গ্রামে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, নদী ভাঙন ঠেকানো আমাদের হাত নেই, কিন্তুু শিশুদের শিক্ষা বঞ্চিত করা কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়। চর সাড়াশিয়ায় দ্রুত একটি স্হায়ী ভবন নিমার্ণ ও অস্থায়ী বিদ্যালয় চালুর ব্যবস্হা করে সকল শিক্ষার্থীর শিক্ষা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ গ্রহন করার। 


মানববন্ধনে আরও বলেন, ১৯৫০ সালে চর সাড়াশিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় স্হাপিত হয়।  যমুনা নদী ভাঙনের জন্য প্রায় ২০ বার জাগয়া পরিবর্তন করা হয়। ২০০৬ সালে নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায় চর সাড়াশিয়া গ্রামের অধিকাংশ বাড়ি। 


পরবর্তীতে চর নাগদায় অস্থায়ীভাবে বাড়ি করেন চর সাড়াশিয়া গ্রামের মানুষ। তখন শিশুদের পাঠদানের জন্য অস্থায়ীভাবে চর নাগদার একটি মাদ্রাসায় প্রাথমিক বিদ্যালয়টি পরিচালনা করা হচ্ছে। বর্তমানে চর নাগদা গ্রাম ও অস্থায়ী বিদ্যালয়টি সাম্প্রতিক নদী ভাঙনে সম্পূর্ণ বিলীনের পথে। এর জন্য গ্রামের অধিকাংশ মানুষ আবার চর সাড়াশিয়া গ্রামে নতুন বসতবাড়ী নিমার্ণ করছেন। ১৯ নং চর সাড়াশিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ছাত্র- ছাত্রী ২৫০ জন। ২০০ জনের বাড়ি চর সাড়াশিয়া ও মাত্র ৫০ জনের বাড়ি চর নাগদা গ্রামে। 



চর সাড়াশিয়া ও চর নাগদার মাঝে যমুনা নদীর জন্য যাতায়াতের অসুবিধা জন্য প্রায় ২০০ জন ছাত্র- ছাত্রীর লেখাপড়া বন্ধ হয়ে পড়ছে। গ্রামের ছোট ছোট শিশুদের পড়ালেখা বাদ দিয়ে মাঠ কৃষি কাজ করছেন। 


চর সাড়াশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নয়ন বলেন, যমুনা নদী ভাঙনের জন্য অস্থায়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি অন্য জায়গায় নেওয়া হবে। যদি চর সাড়াশিয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নতুনভাবে চালু করা হয় তাহলে ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী লেখাপড়ার সুযোগ পাবে তা না হলে এদের ভবিষ্যতে অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। 


বেড়া উপজেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জানান, আমরা দুই মৌজার  শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলে সুবিধাজনক জায়গায় নতুনভাবে স্হাপন করা হবে। 


বেড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোরশেদুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। আপতত চর নাগদায় আড়ালিয়া মৌজায় মাদরাসায় ক্লাস হচ্ছে। বিদ্যালয়ের সভাপতি প্রাথমিকভাবে একটি জাগয়া নির্ধারণ করছেন, চুড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এই বিষয়ে কারও আপত্তি থাকলে লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবো।


এসডি/