রোহিঙ্গাদের স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে ঢাকায় ‘মার্চ ফর আরাকান’


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:৫৪ পিএম, ২৫শে আগস্ট ২০২৫


রোহিঙ্গাদের স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে ঢাকায় ‘মার্চ ফর আরাকান’
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘মার্চ ফর আরাকান’ কর্মসূচি। সোমবার বিকালে ‘আন্তর্জাতিক রোহিঙ্গা গণহত্যা স্মরণ দিবস’ উপলক্ষে ‘বাংলাদেশ পিপলস কোয়ালিশন ফর রোহিঙ্গা রাইটস’-এর উদ্যোগে শাহবাগ থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পর্যন্ত এ পদযাত্রার আয়োজন করা হয়।


কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠনের সদস্য, জুলাই বিপ্লবের কর্মীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। বিকেল ৩টায় জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে যাত্রা শুরু হয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয় এ পদযাত্রা। এ সময় অংশগ্রহণকারীরা রোহিঙ্গাদের স্বাধীন রাষ্ট্র ও মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।


আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ১১ দেশ


সমাবেশে রোহিঙ্গা তরুণ আহনাফ আলম বলেন, শতাব্দীব্যাপী আরাকানে বসবাস করেও তাদের অস্তিত্ব মুছে ফেলার চেষ্টা চলছে। বাংলাদেশে অনেকের মধ্যে ভুল ধারণা থাকলেও তিনি বিশ্বাস করেন, দেশের জনগণ রোহিঙ্গাদের প্রতি সহমর্মিতা দেখাবে।


বাংলাদেশ পিপলস কোয়ালিশন ফর রোহিঙ্গা রাইটসের সংগঠক জিহাদী ইহসান রোহিঙ্গাদের গণহত্যার দীর্ঘ ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, রোহিঙ্গাদের স্বাধীনতা শুধু মানবতার জন্য নয়, বরং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্যও জরুরি।


আরও পড়ুন: সারাদেশে একযোগে ৫৩ বিচারক ও ৩৪ পুলিশ কর্মকর্তার বদলি


বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের নেতা ফজলুর রহমান বিশ্ব সম্প্রদায়ের নীরবতাকে লজ্জাজনক উল্লেখ করে বলেন, রোহিঙ্গাদের অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে আরাকানকে স্বাধীনতা দেওয়া মানবতার দায়িত্ব।


সমাবেশে ‘মার্চ ফর আরাকান’-এর মুখপাত্র শাহরিয়ার ফাহাদ রোহিঙ্গাদের মুক্তি ও আরাকানের স্বাধীনতার দাবিতে আট দফা প্রস্তাব ঘোষণা করেন। এর মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিকভাবে রোহিঙ্গা গণহত্যার স্বীকৃতি ও বিচার নিশ্চিত করা, স্বদেশে ফেরার অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া, পূর্ণ মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া এবং বৈশ্বিক সংহতির মাধ্যমে স্বাধীন আরাকান রাষ্ট্র গঠনে সহযোগিতা।


আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিজীবীরা এ বছর পাচ্ছেন আরও দুটি লম্বা ছুটি


কর্মসূচিতে বক্তারা জোর দিয়ে বলেন, রোহিঙ্গাদের অস্তিত্ব রক্ষায় বিশ্বব্যাপী ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। নীরবতা নয়, কার্যকর পদক্ষেপই পারে এই নিপীড়িত জনগোষ্ঠীর ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে।


এএস