আইসিইউতে গুলিবিদ্ধ হাদি, চলছে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস

মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। এভারকেয়ার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে তাকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হওয়ার পর প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে জরুরি অস্ত্রোপচারের পর লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় তাকে। পরে পরিবারের সিদ্ধান্তে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
হাদির সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. জাহিদ রায়হান বলেন, তার অবস্থা অত্যন্ত খারাপ এবং পুরোপুরি সংকটাপন্ন।
আরও পড়ুন: এভারকেয়ারে পৌঁছেছে গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদি
বিজ্ঞাপন
তিনি জানান, হাসপাতালে আনার পরও হাদির জীবিত থাকার লক্ষণ পাওয়া যাচ্ছিল। অস্ত্রোপচারের সময় এনেসথেশিয়া বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, তার নিজস্ব শ্বাসপ্রশ্বাসের কিছু সক্ষমতা তখনও ছিল।
ডা. জাহিদ রায়হান আরও জানান, অস্ত্রোপচারের সময় হাদি দু’বার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত হন এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। নাক ও মুখ দিয়েও রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছিল। এ অবস্থায় চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে আশাবাদী কিছু বলার সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি।
তবে তিনি উল্লেখ করেন, হাদি এখনও জীবিত রয়েছেন এবং বাকি বিষয় সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছার ওপর নির্ভর করছে।
বিজ্ঞাপন
চিকিৎসকদের ধারণা অনুযায়ী, হাদির মাথার এক পাশ দিয়ে গুলি প্রবেশ করে অন্য পাশ দিয়ে বেরিয়ে গেছে।
ডা. জাহিদ রায়হান বলেন, যদি গুলির কোনো অংশ ভেতরে থেকেও থাকে, সেটি মস্তিষ্কের গভীর ও কেন্দ্রীয় অংশে অবস্থান করছে। এ ধরনের জায়গায় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে হস্তক্ষেপ সাধারণত করা হয় না। যদিও গুলির বেশিরভাগ অংশ বেরিয়ে গেছে, তবে মস্তিষ্কের ভেতরে কিছু ক্ষুদ্র ধাতব খণ্ড (ফ্রেগমেন্ট) রয়ে গেছে। অস্ত্রোপচারের সময় সেগুলোর কিছু অংশ সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এর আগে শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় অটোরিকশায় চলাচলের সময় দুর্বৃত্তরা ওসমান হাদির মাথায় গুলি চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে জরুরি অস্ত্রোপচারের পর লাইফ সাপোর্টে রাখা হলে পরে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।








