ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৩০ কিলোমিটার যানজট, চরম দুর্ভোগে যাত্রীরা


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:২২ পিএম, ২৬শে আগস্ট ২০২৫


ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৩০ কিলোমিটার যানজট, চরম দুর্ভোগে যাত্রীরা
সংগৃহীত ছবি।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গত রাত থেকে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার (২৫ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লার দাউদকান্দি ও মেঘনা সেতুর কাছে পরপর দুটি ট্রাক দুর্ঘটনার শিকার হলে এই যানজট শুরু হয়। এতে প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যান চলাচল একেবারে বন্ধ হয়ে পড়ে।


একই রাতে দুই দুর্ঘটনার কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড থেকে শুরু করে দাউদকান্দি পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকায় যানবাহন চলাচল একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। এতে রাতভর শত শত বাস, ট্রাক ও ব্যক্তিগত গাড়ি আটকে থাকায় যাত্রী ও চালকরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। বিশেষ করে শিশু, নারী ও বৃদ্ধরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হন। অনেক যাত্রীকে গাড়ি ছেড়ে হেঁটে গন্তব্যের দিকে যেতে দেখা গেছে।


শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ জুলহাস উদ্দিন জানান, “দুইটি দুর্ঘটনার কারণে পুরো মহাসড়কে স্থবিরতা নেমে আসে। দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাকগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে, বর্তমানে আমাদের একাধিক টিম কাজ করছে। যান চলাচল ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে।


মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকালে যাত্রীদের ভোগান্তি ছিল চরম। ঘণ্টার পর ঘণ্টা এক জায়গায় আটকে থেকে শিশু, নারী ও বৃদ্ধরা নাজুক পরিস্থিতিতে পড়েন। এ সময় খাবার ও পানির সংকট দেখা দেয়।


ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী যাত্রী সেলিম মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সকাল ৬টার দিকে বাসে উঠেছি। ৯টা পর্যন্ত বাস মাত্র কয়েক কিলোমিটার এগিয়েছে। পরে নেমে হেঁটে এগোতে হয়েছে। খাবারও কিনতে পারিনি, পানি পাওয়া ছিল কঠিন।


আরেক যাত্রী নাসরিন আক্তার বলেন, গরমে ছোট বাচ্চাকে নিয়ে ভীষণ কষ্ট হয়েছে। সারা রাত গাড়ির ভেতর বসে থাকতে হয়েছে। শিশুটি কান্নাকাটি করেছে।


দীর্ঘ যানজটে শুধু যাত্রী নয়, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ব্যবসায়ীরাও। সময়মতো পণ্য পৌঁছাতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। সোনারগাঁওয়ের ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন, যখনই মহাসড়কে এ ধরনের দীর্ঘ যানজট হয়, তখন আমাদের ব্যবসায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়। কাস্টমাররা আসে না, আবার আমাদের পণ্য সময়মতো বাজারে পৌঁছায় না। এভাবে প্রায়ই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।


পুলিশ আরও জানিয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে প্রচুর গাড়ি জমে থাকায় পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে দুপুর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।


এসডি/