শাহবাগে পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ ৬ জন আহত

রাজধানীর শাহবাগে পুলিশ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় ছয়জন আহত হয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
রাজধানীর শাহবাগে পুলিশ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় ছয়জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে পাঁচজন বুয়েট শিক্ষার্থী এবং একজন সাংবাদিক রয়েছেন।
বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
আহতরা হলেন- বুয়েট শিক্ষার্থী নাবিদ, শাহাদাৎ, নাভিদ, রিজন ও হাসান। এছাড়া নিউ নেশন পত্রিকার সাংবাদিক আলম শরীফ শিমুল আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।
আহতদের সহপাঠী মাহাত জানান, পুলিশের লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেডে শিক্ষার্থীরা আহত হন। আহত ছয়জনের মধ্যে দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হলেও চারজন এখনও ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুকও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মোট ছয়জন হাসপাতালে আনা হয়েছিল, যাদের মধ্যে দুজন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিন সকাল থেকে বুয়েটসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ঘোষিত ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন। এতে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুপুর দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে স্থাপিত ব্যারিকেড ভেঙে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন ‘যমুনা’র দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ, পানি ছিটানো ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
সংঘর্ষের পর শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মেট্রোরেল স্টেশনের সামনে অবস্থান নেন। তারা প্রকৌশল পেশার মান রক্ষায় তিন দফা দাবি তুলে ধরেন।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো-
বিজ্ঞাপন
১. সহকারী প্রকৌশলী (নবম গ্রেড) পদে কেবল বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিধারীদের নিয়োগ নিশ্চিত করা। কোনোভাবেই কোটাভিত্তিক বা অন্য নামে নতুন পদ সৃষ্টি করে পদোন্নতির সুযোগ দেওয়া যাবে না।
২. উপসহকারী প্রকৌশলী (দশম গ্রেড) পদে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রিধারী বিএসসি গ্র্যাজুয়েটদের পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ রাখা।
৩. প্রকৌশলী পদবি সুরক্ষায় আইন প্রণয়ন এবং নন-অ্যাক্রিডেটেড বিএসসি কোর্সগুলোকে দ্রুত স্বীকৃতির আওতায় আনা।
বিজ্ঞাপন
এএস








