ভরা মৌসুমেও নেই ইলিশ, অলস সময় কাটাচ্ছে কমলনগরের আড়ৎদাররা
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫:০২ পিএম, ৬ই সেপ্টেম্বর ২০২৫

ইলিশের ভরা মৌসুমেও ফাঁকা ঘাট লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার মাতাব্বর হাটে। আড়ৎদাররা শুয়ে-বসে কাটাচ্ছেন অলস সময়। সরবরাহ না থাকায় হতাশা বিরাজ করছে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের মধ্যে।
আড়ৎদার বাবুল জানান, “হাজার হাজার টাকা খরচ করছি জেলেদের মাধ্যমে। কিন্তু ইলিশের দেখা নেই। টাকা দেওয়ার ভয়ে জেলেরাও পালিয়ে বেড়াচ্ছে।”
মাঝে মধ্যে জেলেরা অল্প কিছু ইলিশ নিয়ে আসলেও তা চাহিদার তুলনায় খুবই কম। তিনি আরও বলেন, “এখন এমন অবস্থা হয়েছে, নিজেই আধা কেজি বা এক কেজি ওজনের মাছ খাওয়ার সাহস পাই না।”
পাইকারি ব্যবসায়ী কাউসার বলেন, “নৌকা থেকে মাছ নামার সঙ্গে সঙ্গেই ডাকের মাধ্যমে চড়া দামে কিনতে হচ্ছে। মাছের সরবরাহ কম হওয়ায় পাইকারদের লোকসানের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।”
আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে হৃদয়স্পর্শী মুহূর্ত: পচি খাতুনের শেষ ইচ্ছা পূরণ
এ বাজারের সেক্রেটারি হাজী হাজারী বলেন, “বিগত বছরগুলোতে এই মৌসুমে ঘাটে ইলিশের ছড়াছড়ি থাকত। এ বছর অস্বাভাবিক সংকট তৈরি হয়েছে। বাজার সচল রাখতে আমাদেরও হিমশিম খেতে হচ্ছে।”
স্থানীয় ক্রেতা হেলাল বলেন, “আগে বড় ইলিশ কিনতাম। এখন দাম এত বেশি যে বাধ্য হয়ে ছোট মাছ নিতে হচ্ছে।”
আরেক ক্রেতা আজম বলেন, “বাজারে ঢুকলেই শুধু দাম শুনতে হয়, ইলিশ কেনার মতো অবস্থা নেই। পরিবারকে নিয়ে খেতে হচ্ছে ছোট জাতের মাছ।”
বাজারে দেখা গেছে, সরবরাহ কম থাকায় এক কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে পঁচিশ থেকে তিন হাজার টাকায়। আধা কেজি ইলিশ দেড় থেকে দুই হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারের বিক্রেতারা বলছেন, এ বছর ক্রেতাদের ভিড়ও অনেকটা কমে গেছে। একসময় উপচেপড়া ভিড় থাকলেও এখন সেই চিত্র নেই।
বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, আগামী ৮ অক্টোবর থেকে ইলিশ ধরায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়ার আগে যদি জেলেদের জালে পর্যাপ্ত মাছ ধরা পড়ে, তবে এ খাতে কিছুটা ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
এসএ/