গাজায় নিহত ৭২, ক্ষুধায় আরও ৭ জনের মৃত্যু
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১১:৪২ এএম, ১২ই সেপ্টেম্বর ২০২৫

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় মৃতের সংখ্যা ৬৪ হাজার ৭০০ ছাড়িয়েছে। এর পাশাপাশি দুর্ভিক্ষ ও অনাহারে প্রতিদিনই বাড়ছে প্রাণহানি। গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু ক্ষুধায় মারা গেছেন আরও ৭ জন, যাদের মধ্যে একজন শিশু রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বার্তাসংস্থা আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় ইসরায়েলের হামলায় মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪ হাজার ৭১৮ জনে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন ৭২ জন এবং আহত হয়েছেন ৩৫৬ জন। এ নিয়ে মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৮৫৯ জনে। এখনও বহু মরদেহ ধ্বংসস্তূপ ও রাস্তায় পড়ে আছে, উদ্ধারকর্মীরা সেখানে পৌঁছাতে পারছেন না।
এদিকে গত এক দিনে ত্রাণ সংগ্রহের সময় ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে আরও ৯ জন নিহত ও অন্তত ৮৭ জন আহত হয়েছেন। এ নিয়ে ২৭ মে থেকে এ পর্যন্ত ত্রাণ নিতে গিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ৪৬৫ জনে এবং আহত হয়েছেন অন্তত ১৭ হাজার ৯৪৮ জন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় অনাহার ও অপুষ্টিতে মারা যাওয়া সাতজনের মধ্যে একজন শিশু রয়েছে। ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দুর্ভিক্ষে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪১১ জনে, যাদের মধ্যে ১৪২ জন শিশু। এর মধ্যে শুধু গত মাসে, যখন জাতিসংঘ সমর্থিত ক্ষুধা পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইপিসি গাজাকে আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্ভিক্ষ অঞ্চল ঘোষণা করে, তখনই মারা গেছেন ১৩৩ জন—যাদের মধ্যে ২৭ জন শিশু।
চলতি বছরের মার্চের শুরু থেকে ইসরায়েল গাজার সব সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ায় প্রায় ২৪ লাখ মানুষের এই জনপদ মারাত্মক দুর্ভিক্ষে পড়েছে। এরপর ১৮ মার্চ থেকে নতুন করে হামলা শুরু হলে এ পর্যন্ত আরও ১২ হাজার ১৭০ জন নিহত এবং ৫১ হাজার ৮১৮ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে জানুয়ারির যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় চুক্তিও ভেঙে যায়।
এর আগে গত নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োআভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। পাশাপাশি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলাও চলছে।
এসএ/