বিএনপি দেশদ্রোহী: তথ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, বিএনপি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। বাংলাদেশকে যাতে বিদেশী দেশগুলো সাহায্য-সহায়তা না করে, বাংলাদেশকে দেওয়া বিদ্যমান সহায়তা বন্ধ করে দেয় সেজন্য জোর অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এটাতো দেশদ্রোহীতার শামিল। আসলে বিএনপি দেশদ্রোহী রাজনৈতিক দল। তারা বাংলাদেশের ইতিহাস বিকৃতিতেও পটু। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মুজিবনগর সরকারের অধীনে ৪০০ টাকা বেতন পেতেন। জিয়া বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন মাত্র। শুধু জিয়া নয় অনেকেই বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনেকেই বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার কথা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচার করেছিলেন। অথচ বিএনপি জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর অপচেষ্টা করছে। এটা হলো স্কুলের দারোয়ানকে হেড মাস্টার বানানোর মতোই। বিএনপি এমনই একটি দল যারা বর্তমানেও বিভিন্ন বিষয়ে প্রকৃত তথ্য বিকৃত করছে। ক্রমাগত ইতিহাসকে বিকৃত করে চলছে। যারা ক্রমাগত প্রকৃত ইতিহাসকে বিকৃত করছে, হত্যা করছে তাদেরও বিচার হওয়া উচিত। মাননীয় তথ্যমন্ত্রী তার বক্তব্যে করোনা মোকাবিলায় চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরাট অবদানের কথা উল্লেখ করে বলেন, বিএনপি এমনটি একটি রাজনৈতিক দল যারা কোভিড ১৯ মোকাবিলায় অবদান রাখা চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের একটিবারের জন্যও ধন্যবাদ জানায় নি। উল্টো তারা করোনা মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা কোভিড ১৯ টিকাদান কার্যক্রম নিয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত ছিল।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় (২১ এপ্রিল) শহীদ ডা. মিল্টন হলে বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠন, শপথ অনুষ্ঠান-ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, মুজিবনগর সরকার হচ্ছে স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রথম কার্যকরী সরকার। গণতন্ত্র, সাম্য ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ছিল এই সরকারের প্রধানতম লক্ষ্য। মুজিবনগর সরকার হলো বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির জীবনের এক অবিস্মরণীয় গৌরবগাঁথা ইতিহাস। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বাঙালি জাতির চেতনাবোধকে জাগ্রত করে অভিষ্ট্য লক্ষ্যে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে চিরকাল নিরন্তর প্রেরণা দিয়ে যাবে ঐতিহাসিক মুজিবনগর সরকার। মাননীয় উপাচার্য আরো বলেন, বর্তমানেও দেশে স্বাধীনতা বিরোধীরা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলমান অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে এই ষড়যন্ত্রকারীদের বিষয়ে সতর্ক থেকে স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে হবে।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য ও পরিবার এবং সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা, বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলের বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ। সম্মানিত অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, এমপি।
সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ। আলোচনা সভায় অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান দুলাল, নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী, হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সালাহউদ্দিন শাহ, ল্যাবরেটরি মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. দেবতোষ চন্দ্র পাল, হল প্রোভোস্ট অধ্যাপক ডা. এসএম মোস্তফা জামান, সহযোগী অধ্যাপক ডা. আরিফুল ইসলাম জোয়ারদার টিটো বক্তব্য রাখেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. স্বপন কুমার তপাদারের সঞ্চালনায় আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত ডিনবৃন্দ, বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স, টেকনোলজিস্ট, কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসএ/