হিজাবের পর বাইবেল নিয়ে তোলপাড় কর্ণাট
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
ভারতে কর্ণাটকে হিজাব বিতর্কের পর এখন বাইবেল নিয়ে তোলপাড়। বেঙ্গালুরুর ক্লারেন্স হাইস্কুল অভিভাবকদের তাদের সন্তানদেরকে বাইবেল নিয়ে স্কুল প্রাঙ্গনে পাঠাতে বলেছে এবং স্কুলের সিদ্ধান্তে তাদের কোনো আপত্তি নেই বলেও জানাতে বলা হয়েছে।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর, ডানপন্থী দলগুলি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে এবং এটিকে কণার্টক শিক্ষা আইনের লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে। কিন্তু জনজাগৃতি সমিতির রাজ্য মুখপাত্র। মোহন গৌড়া দাবি করেছেন যে, স্কূলটি অ- খ্রিস্টান শিক্ষার্থীদের বাইবেল পড়তে বাধ্য করছে। এছাড়াও অ- খ্রিষ্টান ছাত্র আছে যারা স্কুলে অধ্যয়নরত এবং বাইবেল পড়তে বাধ্য হয়। এই নিয়ে কোর্টে যাবেন তাঁরা।
স্কুল প্রশাসন এবিষয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে বলেছে যে, তারা বাইবেলের ভিত্তিতে শিক্ষা দিচ্ছে সম্প্রতি কর্ণাটক সরকার স্কুলের পাঠ্যসূচিতে ভগবত গীতা অন্তভূক্ত করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। স্কুল পাঠ্যক্রমে ভগবত গীতা অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত আলোচনার পরে নেওয়া হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে ছিলেন। বেঙ্গালুরুর ওই স্কুলটির নাম ক্ল্যারেন্স স্কুল। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, স্কুলটি খ্রিস্টান মূল্যবোধে বিশ্বাসী। পড়ুয়াদের ও সেই মূল্যবোধ শেখাতে আগ্রহী। তাঁরা চান, পড়ুয়ারা সেই আবহে বেড়ে উঠুক। সেই লক্ষ্যে বাইবেল আনতে বলার সিদ্ধান্ত।
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষামন্ত্রী বিসি নাগেশ বলেছেন, ভগবতগীতা বহু বছর ধরে এদেশের মানুষ পড়েছেন। গীতা সকল মানুষ পাঠ করে এবং বইটি বিশ্বের সকল ভাষায় অনূদিত হচ্ছে। আমরা প্রথমে শিক্ষাবিদ ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করব এবং তারপর সিদ্ধান্ত নেব ভগবতগীতা পাঠ্যসূচিতে অন্তভুর্ক্ত করা হবে কি না।
বেঙ্গালুরুর একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের প্রতিনিধির দাবি, বিষয়টি অন্য ধর্মের শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় অধিকার ভঙ্গের একটি ষড়যন্ত্র। তাই স্কুলটির বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের শিক্ষা দফতরে অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। বিষয়টি নিয়ে আদালতে ও যাবে সংগঠনটি। একই সঙ্গে সংগঠনটি স্কুলে ভগবতগীতা পড়ানোর বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন।
এসএ/