বাংলাদেশ ডিজিটাল প্রোটেকশন আইন তৈরি করছে: পলক


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


বাংলাদেশ ডিজিটাল প্রোটেকশন আইন তৈরি করছে: পলক

বাংলাদেশ ডিজিটাল প্রোটেকশন আইন তৈরি করছে। এখন একে অপরের সাথে প্রতিযোগিতার সময় নয়, সহযোগিতার সময়। বৈশ্বিক অন্তর্ভুক্তিমূলক অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমাদের নাগরিকদের অধিকার সুরক্ষার পাশাপাশি সাইবারস্পেসে অর্থনীতিকে সুরক্ষা দিতে পারবো। নতুন ও উদীয়মান প্রযুক্তি উদ্ভাবন করার জন্য আমাদের একে অপরকে সহযোগিতা করা উচিত। এর মাধ্যমে আমরা নাগরিকদের উন্নত জীবন দেয়া সম্ভব।

প্রতিমন্ত্রী বুধবার (২৭ এপ্রিল) ভারতের নয়াদিল্লির তাজ প্যালেসের দরবার হলে রাইসিনা সংলাপ ২০২২ উপলক্ষে প্যানেল আলোচনায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এসব কথা বলেন। 

এ সময় তিনি নাগরিকদের ডাটা ও প্রাইভেসি সুরক্ষার জন্য জাতিসংঘের অধীনে গ্লোবাল ইন্টারনেট গভর্ন্যন্স কাউন্সিল ও ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি নির্দেশিকা প্রণয়নের আহবান জানান।  

প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও নাগরিকদের কল্যাণে আমরা ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করছি। নিরাপত্তার স্বার্থে এখন আমরা বিগ টেক, রেড টেক এবং ডীপ টেক প্রযুক্তির হস্তক্ষেপ করার অনুমতি দিতে চাই না। আমাদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সাইবারস্পেস সুরক্ষা করতে ৪টি স্তম্ভ ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ কাজ করছে।

ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র উপদেষ্টা কাঞ্চন গুপ্তের সঞ্চলনায় প্যানেল আলোচনায় অন্যান্যোর মধ্যে অংশগ্রহণ করেন ভারতের ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাইবার এবং ইমার্জিং টেকনোলজির ডেপুটি ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার অ্যান নিউবার্গার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল অটোমিকস গ্লোবাল করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী ভিভেক লাল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেকনোলজি অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স প্রোগ্রামের প্রতিনিধি ইভন নানজিরা সাম্বুলি।  

গত ২৫ এপ্রিল ‘রাইসিনা ডায়ালগ ২০২২’-এর উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। 

উল্লেখ্য, রাইসিনা ডায়ালগ হচ্ছে একটি বহুপাক্ষিক ফ্ল্যাগশিপ সম্মেলন। এই ডায়ালগ আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনীতি এবং ভূ-অর্থনীতির বিষয়ে ২০১৬ সাল থেকে প্রতি বছর ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উক্ত ডায়ালগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, মন্ত্রী, বেসরকারি খাতের প্রধান নির্বাহী এবং স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তাগণসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক নীতিনির্ধারকগণ অংশগ্রহণ করেন।

এসএ/