বিএনপির রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা মিশে আছে: ওবায়দুল কাদের
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
বিএনপির রক্তের সঙ্গেই বিশ্বাসঘাতকতা মিশে আছে। পঁচাত্তরের বঙ্গবন্ধুর পরিবার হত্যার সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত। এটা এখন দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর বনানী কবরস্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ জামালের জন্মদিন উপলক্ষে তার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম প্রতিদিনই বলেন আওয়ামী লীগ দেশ ধ্বংস করছে, অর্থনীতি ধ্বংস করছে। তার মুখে শুধু ধ্বংসের বাণী। তিনি শুধু ধ্বংসের কথাই জানেন। কারণ তারা নিজেরা ক্ষমতায় থাকতে ধ্বংসই করে গেছেন। এখন তারা বুঝিয়ে দিচ্ছে তারা এখনো ধ্বংসই চায়। আসলে নেতিবাচক রাজনীতির জন্য বিএনপি নিজেরা নিজেদের ধ্বংস করছে।
বিএনপি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করতে চায় সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বিএনপির জাতীয় সরকার লেজেগোবরে ছিলো গতবার, এবারও জাতীয় সরকার কি হবে তা তাদের রাজনীতি দেখেই বুঝা যায়।
এসময় শেখ জামালের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, রক্তাক্ত বিদায়ের স্মৃতি এতই বিষাদের আজকে জন্মদিনের আনন্দ ম্লান হয়ে গেছে। এই প্রজন্মের অনেকের কাছে শেখ জামাল পরিচিত নয়। শেখ জামাল অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার সঙ্গে শেখ জামালও বন্দিত্ববরণ করেন। কিন্তু শেখ জামাল আগস্ট মাসে হানাদারদের চোখ ফাঁকি দিয়ে ভারতে আগরতলায় পালিয়ে যান। ভারতে গিয়ে তিনি মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ নেন এবং নয় নম্বর সেক্টরে তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েন।
কাদের বলেন, শেখ জামাল দেশমাতৃকার অত্যন্ত সম্ভাবনাময় সন্তান ছিলেন। সেনাবাহিনীতে তার আচরণ, ডিসিপ্লিনের প্রতি ঊর্ধ্বতন অফিসাররা সবাই মুগ্ধ ছিলেন। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু পরিবারের সঙ্গে দেশমাতৃকার সম্ভাবনাময় মেধাবী সন্তানকে ঘাতকেরা হত্যা করেছিল। সেদিন যদি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশে থাকতেন তাদের হত্যা করা হতো। একটা পরিবারকে সেদিন ধ্বংস করার জন্য এই হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে সেদিন দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রে মানবজাতির ইতিহাসে নৃশংস এই হত্যাকাণ্ড হয়েছিলো। অবলা নারী, অবুঝ শিশু কেউই রেহাই পায়নি।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য অ্যডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাসিম, এস এম কামালসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
ওআ/