মুসলিম মেয়েকে বিয়ে করায় যুবককে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
ভারতের হায়দারাবাদে বৃহস্পতিবার (৫ মে) একটি হৃদয় বিদারক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে এক মুসলিম মেয়েকে বিয়ে করায় প্রান দিতে হল এক দলিত যুবককে। মেয়েটির পরিবারের লোকজন যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এই ঘটনাটি প্রকাশ্য রাস্তায় সংগঠিত হয়েছে। মহিলাটি সেখানে উপস্থিত লোকদের সামনে কাঁদতে থাকেন, অনুনয় বিনয় করতে থাকেন কিন্তু কেউ তার সাহায্যে এগিয়ে আসেনি। অবশেষে যুবকটি প্রান হারায় এবং অভিযুক্তরা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় রেখে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে সরুর নগরে। পরিবারের সদস্যদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে একদলিত যুবককে বিয়ে করেছিলেন ওই মহিলা। এতে চটে যায় মুসলিম মহিলার ভাই ও কয়েকজন আত্মীয় তার স্বামীর উপর হামলা করে। ঘটনার পর মহিলাটি যা বললেন তা হৃদয়বিদারক।
মহিলাটি জানান, তারা সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাখার সময় তার ভাইসহ ৫জন সেখানে আসেন। তারা তার স্বামীকে লোহার রড দিয়ে মারধর শুরু করে। সে চিৎকার করে ও হাতজোড় করে হামলাকারীদের চলে যাবার জন্য অনুরোধ করতে থাকে কিন্তু হামলাকারীরা তার আবেদনে সাড়া দেয় না। এমনকি প্রকাশ্য রাস্তায় এই নৃশংশ ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেও সেখানে উপস্থিত কেউই এই দম্পতির সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনা।
ঘটনার পর থেকে ওই মহিলা বারবার বলছেন, আমার চোখের সামনেই আমার স্বামীকে মেরে ফেলেছে। আমি কিছুই করতে পারিনি।
মহিলাটি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, সিগন্যালে অনেকলোক ছিল, সবাই দেখেছে, আমি বলেছিলাম স্বামীকে ছেড়ে দেব, তোমরা যাকে বলবে তাকেই বিয়ে করব। কিন্তু ওরা কেউ আমার কথা শোনেনি। আমি ওকে বিয়ে করেছিবলেই ওকে মরতে হল।
মহিলাটি আরো বলেন, আমি আশেপাশের লোকদের কাছে সাহায্য চাই, কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি। পুলিশও ছিল না সেখানে। আমি চিৎকার করা ছাড়া আর কিছুই করতে পারেনি। আমি এর বিচার চাই। আমি হত্যাকারীদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।
উল্লেখ্য, ২৫ বছর বয়সী নাগরাজ হায়দারাবাদের বিন্নাপুর সে থাকতেন। উনি ২৩ বছর বয়সী সৈয়দ সুলতানাকে দুমাস আগেই বিয়ে করেছিলেন। দুজনের মধ্যে সম্পর্ক ছিল। তবে এই বিয়ে মেনে নিতে পারেনি সুলতানার পরিবার। আর এর চরম মূল্য চোকাতে হল নাগরাজকে। এঘটনার অনেক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। সেখানে রক্তাক্ত অবস্থায় নাগরাজকে রাস্তায় পড়ে ছটফট করতে দেখা যায়।
এসএ/