শীতের মৌসুমে বিশ্বজুড়ে আবারও তাণ্ডব শুরু করেছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


শীতের মৌসুমে বিশ্বজুড়ে আবারও তাণ্ডব শুরু করেছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস

ডা.মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ: করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন সংক্রমণের কারণে হু হু করে বাড়ছে রোগী শনাক্তের হার। এই সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে জনসাধারণের মাঝেও উদ্বেগ বাড়ছে। ওমিক্রন সংক্রমণের ঝুঁকি রোধে রাস্তাঘাটে মাস্কের ব্যবহার বেড়েছে।এদিকে, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের তরফ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিধিবিধান সংবলিত ১১ দফা নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

বিশ্বজুড়ে প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েই চলেছে। ১৪ জানুয়ারি ২২ ইং বাংলাদেশে করোনাভাইরাস মোট আক্রান্ত ১৬,০৪,৬৬৪ সুস্থ ১৫,৫১,৯৫৫ মৃত্যু ২৮,১২৩ সারাবিশ্বে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৩১ লাখ ৭৫ হাজার ৫৪৮ জন। একই সময়ে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭ হাজার ২৯৯ জন। এছাড়া একদিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১১ লাখ ৪৭ হাজার ৯৪৩ জন।এ নিয়ে সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ কোটি ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৪১২ জনে। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৫৫ লাখ ৩৮ হাজার ৫০২ জন। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ২৬ কোটি ৩৯ লাখ ৯৯ হাজার ২৭৮ জন। বাংলাদেশেও এরই মধ্যে ৩০ জনের মধ্যে ওমিক্রন পাওয়া গেছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২২৪টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯। আর সবাইকে সতর্ক ও সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন সরকার। একই সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন সরকার। 

এক বছরে অনেকগুলো ছোবলের পর এবার করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পঞ্চম ঢেউয়ে প্রবেশ করেছে ফ্রান্স। রাশিয়ায় চলছে চরম আঘাত। আতঙ্কিত জার্মানি। বিশ্বের দেশে আবার সার্বিক তোড়জোড় শুরু হয়েছে করোনা ঠেকাতে।করোনা নিজের খেয়ালে প্রকোপ হ্রাস-বৃদ্ধি করলেও বাংলাদেশেরদ মানুষ বলতে গেলে উদাসীন। উন্নত বিশ্বে তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ নেওয়া সম্পন্ন হলেও এখানে টিকাকরণের হার শ্লথ। অনেকে টিকাই নেন নি। এক ডোজ নিয়ে ঝুলে আছেন বহুজন। নাম তালিকাবদ্ধ করেও ডাক পাচ্ছেন না বিপুল সংখ্যক মানুষ। টিকার ধীর লয়ের সঙ্গে চরম ঔদাস্য সর্বত্র বিরাজমান। এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের ২০২০ সালের  চিকিৎসায় বিশেষ কোন ঔষধ বা প্রতিষেধক  আবিষ্কৃত হয় নাই বিধায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটাকে মহামারি হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। বাংলাদেশ সরকারও করোনা ভাইরাস মহামারি বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে যথাপ্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। 

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে পরিচালিত কার্যক্রমের সার্বক্ষনিক মনিটরিং করছেন, বিশ্বে  করোনাভাইরাসের প্রকোপ দিন দিন বাড়ছে। তাই সবসময় সচেতন থাকুন ও বাড়ির বাচ্চাদের খেয়াল রাখুন এবং যত্ন নিন।করোনা একটি ল্যাটিন শব্দ, যার অর্থ ‘মুকুট’। অনুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে তোলা ছবিতে এই ভাইরাসটি দেখতে মুকুটের মতো বলেই এর নামকরণ করা হয়েছে করোনা। প্রকৃত অর্থে ১৯৬০ সালের দিকে মুরগীর সংক্রামক রোগের ভাইরাস হিসেবে করোনাভাইরাসের উৎপত্তি হয়েছিল। তবে এরপর মানবদেহে হওয়া সাধারণ সর্দি কাশিতেও করোনাভাইরাসের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। 

মানবদেহে পাওয়া সাতটি করোনাভাইরাস হচ্ছে, হিউম্যান করোনাভাইরাস ২২৯ই এবং হিউম্যান করোনাভাইরাস ওসি৪৩, এনএল ৬৩, এইচকিউ ওয়ান, সার্স, মার্স,এবংনভেল,করোনাভাইরাস,করোনাভাইরাসগুলোর মধ্যে প্রথম তিনটি মারাত্মক না হলেও পরের চারটি মানুষের জন্য গুরুতর পরিণতি বয়ে আনতে পারে।করোনা নিয়ে বিশ্বজুড়ে চলছে তাণ্ডব। প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এই করোনা নিয়ে মানুষের জানার শেষ নেই। তবুও এমন অনেক তথ্য আছে যা এখ অজানা।সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে বিপুল আতঙ্ক তৈরি করেছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস।আর জীবনকে সফল করতে চাই নানামুখী পদক্ষেপ। মানুষের জীবনে স্বপ্নের হাত ধরেই সফলতার জাগরণ সৃষ্টি হয় আর সৎ কর্মের মাধ্যমে মানুষ সফলতার দেখা পায় বা সার্থক হয় জীবন। জীবনের এ সফলতার পিছনে ছুটতে আপনার প্রথম শক্তি হচ্ছে স্বাস্থ্য। প্রবাদে আছে ‘স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল।’নতুন এই রোগটিকে প্রথমদিকে নানা নামে ডাকা হচ্ছিল, যেমন: 'চায়না ভাইরাস', 'করোনাভাইরাস', '২০১৯ এনকভ', 'নতুন ভাইরাস', 'রহস্য ভাইরাস' ইত্যাদি।গত  বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রোগটির আনুষ্ঠানিক নাম দেয় কোভিড-১৯ যা 'করোনাভাইরাস ডিজিজ ২০১৯'-এর সংক্ষিপ্ত রূপ,হোমিওপ্যাথিক ওষুধ রোগাক্রান্ত ব্যক্তিদের আরোগ্য দিতে সহায়তা করতে পারে তার জন্য এ বিষয়ে জানা একান্ত অপরিহার্য।ব্যাপক অর্থে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের নিয়মনীতি অনুসারে করোনাভাইরাসসহ কোনো ভাইরাসেরই প্রতিষেধক হিসেবে একক হোমিওপ্যাথিক ওষুধ নে। তবে কোনো একটি এলাকায় বসবাসরত অধিকাংশ লোক যদি সবাই একই লক্ষণ সমষ্টি নিয়ে করোনাভাইরাসসহ অন্য যে কোনো ভাইরাসে আক্রান্ত হলে, আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য যে একক ওষুধটি নির্বাচিত হবে,কিন্তু ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, করোনা মোকাবেলায় উপযুক্ত ওষুধ তাদের হাতে রয়েছে। ভ্যাকসিন বা অ্যালোপ্যাথি ওষুধ নয়, হোমিওপ্যাথিতেই করোনা প্রতিরোধ করা যাবে। গত বছর ২০ ইং ভারতের আয়ুর্বেদিক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে টুইট করে জানানো হয়েছে, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করা যায়। করোনা আক্রান্তের উপসর্গ সারানোর জন্য ইউনানি ওষুধ অত্যন্ত কার্যকর বলে জানানো হয়েছে। এ জন্য একটি নির্দেশিকাও জারি করা হয়। কী করা উচিত, কী করা উচিত নয় তার একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। এমন কী ওষুধ খেতে হবে, তা-ও বলা হয়েছে।

করোনা ভাইরাস একটি সংক্রামক ভাইরাস। এটির সংক্রমনে জ্বর, কাশি, শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দেয়। অবস্থা মারাত্মক হলে নিউমোনিয়া দেখা দিতে পারে, এমনকি শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে রোগী মারা যেতে পারে।তবে ১৮ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে এর আক্রমন তেমন হয় না। বয়স্ক রোগী যারা ইতিমধ্যে ডায়াবেটিস, হাঁপানী, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারী ডিজিজ (COPD), ইমফাইসেমা ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত তাদের মধ্যে মৃত্যু ঝুঁকি বেশি, যে সব লোক মারা গেছে তারা এসব রোগে আক্রান্ত ছিল* সাধারণ লক্ষণঃ-জ্বর, কাশি,শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যাই মূলত প্রধান লক্ষণ।সাধারণত শুষ্ক কাশি  ও জ্বরের মাধ্যমেই শুরু হয় উপসর্গ, পরে শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দেয়।সাধারণত রোগের উপসর্গগুলো প্রকাশ পেতে গড়ে পাঁচ দিন সময় নেয়।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ভাইরাসটির ইনকিউবেশন পিরিয়ড ১৪দিন পর্যন্ত স্থায়ী থাকে। তবে কিছু কিছু গবেষকের মতে এর স্থায়িত্ব ২৪দিন পর্যন্ত থাকতে পারে।মানুষের মধ্যে যখন ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেবে তখন বেশি মানুষকে সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকবে তাদের। তবে এমন ধারণাও করা হচ্ছে যে নিজেরা অসুস্থ না থাকার সময়ও সুস্থ মানুষের দেহে ভাইরাস সংক্রমিত করতে পারে মানুষ।শুরুর দিকের উপসর্গ সাধারণ সর্দিজ্বর এবং ফ্লু'য়ের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হওয়ায় রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে দ্বিধাগ্রস্থ হওয়া স্বাভাবিক।করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব অনেককে সার্স ভাইরাসের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে যা ২০০০ সালের শুরুতে প্রধানত এশিয়ার অনেক দেশে ৭৭৪ জনের মৃত্যুর কারণ হয়েছিলো নতুন ভাইরাসটির জেনেটিক কোড বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এটি অনেকটাই সার্স ভাইরাসের মতো।"আমরা যখন নতুন কোনো করোনাভাইরাস দেখি, তখন আমরা জানতে চাই এর লক্ষ্মণগুলো কতটা মারাত্মক। এ ভাইরাসটি অনেকটা ফ্লুর মতো কিন্তু সার্স ভাইরাসের চেয়ে মারাত্মক নয়," বলছিলেন এডিনবারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মার্ক উলহাউস।

★ জটিল লক্ষণ প্রকাশঃ-
জ্বর দিয়ে ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়, এরপরে শুকনো কাশি দেখা দিতে পারে। প্রায় এক সপ্তাহ পরে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়। অনেক রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দিতে হয়।এখন পর্যন্ত এই রোগে মারা যাওয়ার হার কম (১% থেকে ২% এর মধ্যে) - তবে এই পরিসংখ্যান পুরোপুরি বিশ্বাসযোগ্য নয়।ইউরোপের কোন কোন অঞ্চলে এখন অধিক মৃত্যুহারও দেখা যাচ্ছে।৫৬ হাজার আক্রান্ত রোগীর উপর চালানো এক জরিপ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক জরিপ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে:এই রোগে ৬% কঠিনভাবে অসুস্থ হয় - তাদের ফুসফুস বিকল হওয়া, সেপটিক শক, অঙ্গ বৈকল্য এবং মৃত্যুর সম্ভাবনা তৈরি হয়।১৪% এর মধ্যে তীব্রভাবে উপসর্গ দেখা যায়। তাদের মূলত শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা তৈরি হয়।৮০% এর মধ্যে হালকা উপসর্গ দেখা যায় - জ্বর এবং কাশি ছাড়াও কারো কারো নিউমোনিয়ার উপসর্গ দেখা যেতে পারে।বয়স্ক ব্যক্তি এবং যাদের কোনো ধরণের অসুস্থতা রয়েছে (অ্যাজমা, ডায়বেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ) তাদের মারাত্মক অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।চীন থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই করে জানা যায় যে, এই রোগে নারীদের চেয়ে পুরুষের মৃত্যুর সম্ভাবনা সামান্য বেশি।আক্রান্ত ব্যক্তি যেন শ্বাস প্রশ্বাসে সহায়তা পায় এবং তার দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা যেন ভাইরাসের মোকাবেলা করতে পারে তা নিশ্চিত করা থাকে চিকিৎসকদের উদ্দেশ্য।এইদিকে করোনাভাইরাসজনিত রোগের (কোভিড-১৯) নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব ও দেশে এ রোগের সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ীদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ১৩ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত 

সরকারের পক্ষ থেকে  ১১ নির্দেশনা মেনে চলতে হবেঃ-
১. দোকান, শপিংমল ও বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা এবং হোটেল-রেস্তোরাঁসহ সব জনসমাগমস্থলে বাধ্যতামূলক সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। অন্যথায় তাকে আইনানুগ শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে।
২. অফিস-আদালতসহ ঘরের বাইরে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে ব্যত্যয় রোধে সারাদেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে।
৩. রেস্তোরাঁয় বসে খাবার গ্রহণ এবং আবাসিক হোটেলে থাকার জন্য অবশ্যই করোনার টিকা সনদ প্রদর্শন করতে হবে।
৪. ১২ বছরের বেশি বয়সী সব শিক্ষার্থীকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত তারিখের পরে টিকা সনদ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।
৫. স্থলবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরে স্ক্রিনিংয়ের সংখ্যা বাড়াতে হবে। পোর্টগুলোতে ক্রুদের জাহাজের বাইরে আসার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করতে হবে। স্থলবন্দরগুলোতেও আগত ট্রাকের সঙ্গে শুধু চালক থাকতে পারবে। কোনো সহকারী আসতে পারবে না। বিদেশগামীদের সঙ্গে আসা দর্শনার্থীদের বিমানবন্দরে প্রবেশ বন্ধ করতে হবে।
৬. ট্রেন, বাস এবং লঞ্চে সক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নেওয়া যাবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কার্যকারিতার তারিখসহ সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা জারি করবে। সর্ব প্রকার যানের চালক ও সহকারীকে আবশ্যিকভাবে কোভিড-১৯ টিকা সনদধারী হতে হবে।
৭. বিদেশ থেকে আসা যাত্রীসহ সবাইকে বাধ্যতামূলক কোভিড-১৯ টিকা সনদ প্রদর্শন করতে হবে।
৮. স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন এবং মাস্ক পরার বিষয়ে সব মসজিদে জুমার নামাজের খুতবায় ইমামরা সংশ্লিষ্টদের সচেতন করবেন। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা এ বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।
৯. সর্বসাধারণের করোনার টিকা এবং