আন্তর্জাতিক রিফুয়েলিংয়ের জায়গা হবে কক্সবাজার: প্রধানমন্ত্রী


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


আন্তর্জাতিক রিফুয়েলিংয়ের জায়গা হবে কক্সবাজার: প্রধানমন্ত্রী

কক্সবাজার হবে আন্তর্জাতিক আকাশ পথে রিফুয়েলিংয়ের একটি জায়গা বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

তিনি বলেন, রিফুয়েলিংয়ের ক্ষেত্রে একেক সময়, একেক দেশ অগ্রাধিকার পায়। এক সময় হংকং ছিল। এরপর থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, এখন দুবাই। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কক্সবাজারই হবে আন্তর্জাতিক আকাশ পথে রিফুয়েলিংয়ের একটি জায়গা।

বুধবার (১৮ মে) কক্সবাজারের বীর মুক্তিযোদ্ধা মাঠে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নবনির্মিত বহুতল ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

কক্সবাজারের উন্নয়ন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অনেকগুলো প্রকল্প নিয়েছি। একটা মাস্টার প্ল্যান করার নির্দেশ দিয়েছি পুরো কক্সবাজার ঘিরে। আমরা চাই, এর উন্নয়নটা যাতে পরিকল্পিতভাবে হয়।’

সমুদ্রসীমা নিয়ে ‘৯৬ সালে সরকার গঠন করার পর তিনিই প্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করেন বলে জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি। বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘আমাদের এই যে বিশাল সমুদ্রসীমা রয়েছে, এটাতে পর্যটনের ক্ষেত্রটা আরও প্রসারিত করা, আবার দেশীয় পর্যটকদের জন্য যেমন সুযোগ সৃষ্টি করা, পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্যও আকর্ষণীয় করা, সেই উদ্যোগটাই আমরা নিতে চাচ্ছি।’

কক্সবাজারের বাসিন্দাদের উদ্দেশে সরকার প্রধান বলেন, ‘কক্সবাজার পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা একান্তভাবে অপরিহার্য। সেজন্য আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে, যত্রতত্রভাবে কোনো স্থাপনা আপনারা নির্মাণ করবেন না। কক্সবাজারে আমরা অনেকগুলো প্রকল্প নিয়েছি। একটা মাস্টার প্লান করার আমরা নির্দেশ দিয়েছি পুরো কক্সবাজার ঘিরে। এর উন্নয়ন যেন অপরিকল্পিতভাবে না হয়ে পরিকল্পিতভাবে হয়।’

কক্সাবাজারে আধুনিক শুঁটকিহাট করা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, কক্সবাজারে আমাদের লবণ চাষিরা আমাদের চাহিদা মেটাতে পারে। প্রথমবার সরকারে এসে আমরা লবণ চাষিদের জন্য ঋণের ব্যবস্থা করি, সুযোগ-সুবিধা দেই। লবণের চাহিদা কিন্তু কোনো দিন ফুরাবে না। বিদেশে যেখানে বরফ পড়ে সেখানে বরফ গলানোর জন্য তারা অপরিশোধিত লবণ ব্যবহার করে। আমরা যদি সেভাবে লবণ উৎপাদন বাড়াতে পারি, আমরা কিন্তু রপ্তানিও করতে পারবো। দেশের চাহিদা মেটাতে পারবো; যেটা পরিশোধিত লবণ-যেসব দেশ লবণ ব্যবহার করে বরফ সরানোর জন্য সেখানে আমাদের পাঠানোর ব্যবস্থা আছে। আমরা করতে পারি, সে সুযোগ আমাদের আছে। আমাদের লবণ উৎপাদনের ক্ষেত্রটা যাতে নষ্ট না হয় সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে এবং লবণ চাষিদের জন্য আরও সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে লবণ উৎপাদন করতে পারে সেই সুযোগটাও করে দিতে হবে। আমরা এ ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন এবং আমি মনে করি যে, এ ব্যাপারে আমরা উদ্যোগ নিতে পারি।

কক্সবাজার প্রান্তে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার।

ওআ/