‍‌‘রাশিয়ার ওপর ইউরোপের নিষেধাজ্ঞা আত্মহত্যার শামিল’


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


‍‌‘রাশিয়ার ওপর ইউরোপের নিষেধাজ্ঞা আত্মহত্যার শামিল’

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, জ্বালানি খাতে বড় রকমের পরিবর্তন আসছে। এমন অবস্থায় রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা ইউরোপের জন্য একধরনের ‘অর্থনৈতিক আত্মহত্যা’।

মঙ্গলবার (১৭ মে) পুতিন তার বক্তব্যে বলেন, ‘ইউরোপ নিজের ক্ষতি নিজে করছে। এতে দেশটিতে জ্বালানি খরচ বাড়বে, বাড়বে মূল্যস্ফীতি।’
 
জ্বালানি খাতসংক্রান্ত অনুষ্ঠিত এক মিটিংয়ে পুতিন এসব কথা বলেন। পুতিন বলেন, ‘অবশ্যই এটা ইউরোপের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। তবে তাদের সিদ্ধান্তই তাদের অর্থনীতিকে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে।’
 
জ্বালানি তেলের ব্যবসা নিয়ে পুতিন বলেন, ‘পুরোনো মডেলে আর ব্যবসা চালিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। সময় ও চাহিদার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ব্যবসায়িক নীতিও পরিবর্তন করতে হবে। তেল নিষ্কাশনও শেষ কথা নয়। আমাদের চিনতে হবে কারা আমাদের প্রকৃত ভোক্তা। তাদের সঙ্গে একটি চেইন তৈরি করতে হবে।’
 
রাশিয়ার তেল কোম্পানিগুলোকে পুতিন আশ্বাস দিয়েছেন, যত ধরনের সাহায্য প্রয়োজন সরকার তা করবে। বিশেষ করে হাইড্রোকার্বন প্রস্তুতকরণে যা যা সাহায্য দরকার তার জোগান দেওয়া হবে। তবে তেল বিক্রি হবে রাশিয়ান মুদ্রা রুবলে।

 এদিকে সোমবার (১৬ মে) বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক জানিয়েছেন, রাশিয়ার ওপর আরও বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
 
বেয়ারবক বলেন, ‘এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে, বিভিন্ন দেশ রাশিয়ার তেলের ওপর নির্ভরতা কমানোর চেষ্টা করছে। আমরা জানি, তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ কতটা কঠিন। তবুও বিষয়টি নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে ভেবে আসছি–কীভাবে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যায়। এ বিষয়ে আরও আলোচনার দরকার আছে বলে মনে করি। আশা করছি, সামনের দিনগুলোতেই নতুন করে নিষেধাজ্ঞার খসড়া চূড়ান্ত হবে।’
 
তবে নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে ইইউ সদস্যভুক্ত দেশ হাঙ্গেরি জানিয়েছে, রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের ওপর থেকে নির্ভরতা কমাতে হলে তার দেশের কয়েক বিলিয়ন ইউরোর তহবিল প্রয়োজন, যা দিতে ইইউ অপ্রস্তুত।
 
এর আগে রাশিয়ার জ্বালানি ও ভোজ্যতেলসহ গ্যাস সরবরাহে দেশটির বিরুদ্ধে নানামুখী নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইইউসহ ন্যাটোভুক্ত ৩০টি দেশ। বিপরীতে ইউরোপের গ্যাসের পাইপলাইন বন্ধ করে দিয়ে পশ্চিমা বিশ্বকে কঠিন সংকটে ফেলে দেয় মস্কো।

এসএ/