ভারতে গণধর্ষণ মামলায় টিকটক হৃদয়সহ ৭ বাংলাদেশির যাবজ্জীবন


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


ভারতে গণধর্ষণ মামলায় টিকটক হৃদয়সহ ৭ বাংলাদেশির যাবজ্জীবন

ভারতের বেঙ্গালুরুর এক বিশেষ আদালত গণধর্ষণ মামলায় ৭ বাংলাদেশির যাবজ্জীবনসহ ১১ বাংলাদেশিকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন এবং তাদের ৫ বছর থেকে যাবজ্জীবন পর্যন্ত কারাদণ্ড দিয়েছেন। যাবজ্জীবন সাজা পাওয়াদের একজন বাংলাদেশি টিকটকার হৃদয় বাবু। যিনি গত বছর ভারতে এক নারীকে পাচার করে ধর্ষণ ও নির্যাতনের একটি ভিডিওতে আলোচনায় আসেন।

গণধর্ষণের ঘটনাটি গত বছরের মে মাসের। সে সময় এক বাংলাদেশি গণধর্ষণের শিকার হন। শুক্রবার (২১ মে) বিশেষ আদালতের রায়ে ১১ বাংলাদেশিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাসহ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।

রায়ে বাংলাদেশের নাগরিক চাঁদ মিয়া, মোহাম্মদ রিফাদুল ইসলাম ওরফে হৃদয় বাবু ওরফে টিকটক হৃদয়, মোহাম্মদ আলামিন হোসেন, রকিবুল ইসলাম, মোহাম্মদ বাবু শেখ, মোহাম্মদ ডালিম ও আজিম হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিশেষ আদালত। এ কাজে সহযোগিতার অভিযোগে তানিয়া খানকে ২০ বছর এবং মোহাম্মদ জামালকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। এ ছাড়া অপর ২ বাংলাদেশিকে ফরেনার্স অ্যাক্টের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে ৯ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। তবে এ মামলায় এক ভারতীয় নাগরিককে অভিযুক্ত করা হলেও তাকে অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

গণধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত ১২ জনের মধ্যে ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়েছে। অপরাধ সংঘটিত হওয়ার ২৮ দিনের মধ্যে চাঞ্চল্যকর এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

অভিযুক্তরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক, যারা ভারতে প্রবেশ করে বেঙ্গালুরুতে অবৈধভাবে বসবাস করে আসছিলেন।

বাংলাদেশে প্রথমে ধর্ষণের একটি ভিডিও ভাইরাল হলে ঘটনাটি জানাজানি হয় এবং পরে বেঙ্গালুরুতে এটি সংঘটিত হয়েছে বলে প্রমাণিত হয়।

এ ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) বিভিন্ন ধারা এবং অনৈতিক পাচার (প্রতিরোধ) আইনের পাশাপাশি ফরেনার্স অ্যাক্টের অধীনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

এসএ/