থানায় আগুন, অভিযুক্তদের বাড়ি গুড়িয়ে দিল পুলিশ
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
ভারতের আসামরাজ্যের নঁগাও জেলার বটদ্রবার থানায় অগ্নিসংযোগ ঘটনায় এ পর্যন্ত এক মহিলাসহ ২১ জনকে গ্রেফতারের পাশাপাশি কিছু বাড়িঘর বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয় পুলিশ। পুলিশের এই অভিযানে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন বিধায়ক শিবমনি বরা সহ অন্যান্যরা।
গতকাল রবিবার (২৩ মে) সকালেই পুলিশ এ অভিযান চালায়। শালনীবাড়ির আশেপাশের বেশ কয়েকটি বাড়ি উচ্ছেদ করে। এরপর হাইডুবিতে ও উচ্ছেদ অভিযান চলে। বিশাল নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।
রবিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় কংগ্রেস বিধায়ক বাটদ্রবার ঘটনায় তীব্র নিন্দা করেন। বিধায়ক সমানতালে পুলিশকেও তিরস্কার করেন। বটদ্রবার থানা পোড়ানো খুবই খারাপ কাজ। শিবমনি বরাই পুলিশ হেফাজতে কিভাবে একজন অভিযুক্তের মৃত্যু হতে পারে তা তদন্তের দাবি জানান। দুস্কৃতীরা থানায় আগুন ধরিয়ে দিলে পুলিশ কেন কিছুই করেনি তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিধায়ক।
তিনি বলেন, ‘দুবৃর্ত্তরা থানায় হামলা চালালে এবং শূন্যে গুলি ছুড়লে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করতে পারত। অথবা কাছের কোন থানা থেকে পুলিশ ফোর্সকে ডাকা যেত। কিন্তু পুলিশ কিছু না করে শুধু তাকিয়েই রইল।’
তিনি আরো বলেন, ‘পুলিশ আর সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকল না। জনগন খারাপ করলে পুলিশকে ও খারাপ করতে হবে এমন কোনো কথা নেই।’
এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে সাংসদ আব্দুল খালেক বলেন, ‘আক্রমণকারীর ঘরে বুলডোজার লাগিয়ে গুটিয়ে দেওয়া তা উচিত হয়নি। এ কাজে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর গৃহ বিভাগ চালাতে ব্যর্থ হয়েছেন। ছোট ছোট ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। সরকার এমন প্রতিশোধ পরায়ণ হতে নেই।’
কমলপুরের বিধায়ক দিগন্ত কলিতা বলেন, ‘এ জঘন্য কাজে জড়িত সবাইকে আইনগতভাবে ফাঁসি দেওয়া হোক।’
তিনি বলেন, ‘সবাই বাংলাদেশী নাগরিক। অপর দিকে মন্ত্রী পীযুষ হাজরিকা বলেন, এ ঘটনায় জড়িত কেউ রক্ষা পাবে না। মন্ত্রী বলেন, এই স্থানে চোর ডাকাতদের বসবাস। উচ্ছেদ আরও চলবে। তারাই পাকিস্তানি পতাকা উড়ায়।’
উল্লেখ্য, শুক্রবার পুলিশ আটক করা একব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যুর পর শনিবার প্রতিবাদে নামে বটদ্রবা থানা পুঁড়িয়ে দেয় একদল উন্মত্ত বাহিনী। আহত হন একাধিক পুলিশ সদস্য।
এসএ/