লড়াইয়ের আভাস দিয়ে দিন শেষ করলো শ্রীলঙ্কা
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
অবিশ্বাস্য এক টেস্টের নাম মিরপুর টেস্ট। চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে থেকে মুশফিক-লিটনের ব্যাটে বড় লড়াইয়ের পুঁজি পাই বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশের দেওয়া লিডের বিপরীতে দ্বিতীয় দিন শেষে টাইগারদের থেকে ২২২ রানে পিছিয়ে আছে শ্রীলঙ্কা।
মঙ্গলবার (২৪ মে) দিনের খেলা শেষ করার আগে শ্রীলঙ্কা জড়ো করেছে ১৪৩ রান, মাত্র ২টি উইকেট তুলে নিতে পেরেছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ ৮ উইকেট হাতে রেখে সুবিধাজনক স্থানেই অবস্থান করছে সফরকারীরা।
কারণ, ওপেনিংয়ে নেমে ক্যারিয়ারের ২৯তম অর্ধশতক পূরণ করে অপরাজিত আছেন অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে। সাবলীল ব্যাটিংয়ে ১২৭ বল খেলে ৭টি চারের মারে ৭০ রান জ্বলজ্বল করছে তার নামের পাশে।
সাবলীল ব্যাটিংয়ে করে ফিফটি করেই আউট হয়েছেন আরেক ওপেনার ওশাদা ফার্নান্ডো। ডানহাতি এই ব্যাটারের উইলো থেকে আসে ৯১ বলে ৮টি চার ও একটি ছয়ে মারে ৫৭ রান। যদিও তেমন সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা কুশল মেন্ডিস (১১)।
এর আগে ভয়ানক ব্যাটিং বিপর্জয়ের পর মুশফিকুর রহিমের অপরাজিত ১৭৫ ও লিটন দাসের ১৪১ রানের দুটি দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে ১১৬.২ ওভারে ৩৬৫ রান জড়ো করে বাংলাদেশ।
লঙ্কানদের পক্ষে দুই পেসার কাসুন রাজিথা ও আসিথা ফার্নান্ডো মিলে শিকার করেন ৯টি উইকেট। এর মধ্যে রাজিথা ৫টি ও ফার্নান্ডো ৪টি উইকেট শিকার করেন।
জবাবে খেলতে নেমে শ্রীলঙ্কা চা বিরতিতে যায় বিনা উইকেটে ৮৪ রান নিয়ে। তৃতীয় সেশনের শুরুতে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন এবাদত হোসাইন, ওশাদা ফার্নান্ডোকে ফিরিয়ে। এরপর ক্রিজে এসে অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নেকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন কুশল মেন্ডিস। তবে ৪৯ বলে ১১ রান করে তিনি লেগ বিফোর হন সাকিব আল হাসানের বলে।
এরপর আর কোনো উইকেট পায়নি বাংলাদেশ। ফলে ৪৬ ওভার ব্যাট করে ২ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান জড়ো করেছে লঙ্কানরা। করুনারত্নে ১২৭ বলে ৭০ ও নাইটওয়াচম্যাচ কাসুন রাজিথা ১১ বলে ০ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
ভাগ্য ও পরিবেশ পরিস্থিতি সহায় হলে হয়তো আরও ২/১টি উইকেট পেতে পারত স্বাগতিকরা। আম্পায়ারদের ত্রুটিপূর্ণ সিদ্ধান্ত আর ক্যাচ হাতছাড়ার ঘটনায় বাংলাদেশ এদিন একাধিক উইকেট থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
এরপরও শেষদিকে দিনের খেলা চালিয়ে যেতে চেয়েছিল টাইগাররা। তাইতো আম্পায়ারদ্বয় স্ট্যাম্পস ঘোষণা করলে অসন্তোষ দেখা দেয় বাংলাদেশ দলে। লঙ্কানদের আরও এক-দুটি উইকেট তুলে নিতে পারলে হয়তো এই অসন্তোষ থাকত না।
এসএ/