সৈয়দপুরে যুবককে পিটিয়ে হত্যা করে ক্যানেলের পানিতে গুম, আটক ৩


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


সৈয়দপুরে যুবককে পিটিয়ে হত্যা করে ক্যানেলের পানিতে গুম, আটক ৩

সৈয়দপুর প্রতিনিধি: নীলফামারীর সৈয়দপুরে অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবককে (৪০) পিটিয়ে হত্যা করে ক্যানেলের পানিতে কচুরি পানার নিচে লুকিয়ে রাখা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (১৪ জানুয়ারি) দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম বালাপাড়ার হোসেইন আলীর (৬০) বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে। 

এদিন সকাল ১১ টার দিকে সৈয়দপুর উপজেলার পশ্চিম সিমান্তে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার ফতেজংপুর ইউনিয়নের ঠাকুরেরহাট জতুরঘু ফকিরপাড়ার ডালিয়া তিস্তা ক্যানেল থেকে নিহত যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সেখানে লাশটি গুম করার উদ্দেশ্যে কালো কম্বল দিয়ে মুড়িয়ে কচুরি পানার স্তুপের নিচে ফেলে দেয়া হয়েছিল। 

চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার কথা বলা হলেও প্রেমঘটিত কারণে এ হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে দাবি একটি পক্ষের। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছেন চিরিরবন্দর থানা পুলিশ।  আটককৃতরা হলেন হোসেন আলীর স্ত্রী,  তাঁর ছেলে খায়রুল (৩০) ও একই এলাকার নজু হোসেনের ছেলে মোকলেছ (২৪)। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহত ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি।

পুলিশ  ও স্থানীয় সূত্রে জনা যায়, নিহত ব্যক্তি ওই রাতে হোসেন আলীর বাড়িতে প্রবেশ করে। এ সময় টের পেয়ে আটকৃতরাসসহ আরও কয়েকজন তাকে ধরে ফেলে। এ সময় তারা তাকে পিটিয়ে মারাত্বকভাবে আহত করে। পরে অবস্থা খারাপ দেখে একই এলাকার বদর মুন্সির ছেলে পল্লী  চিকিৎসক আনসার আলীকে ডেকে আনেন। তিনি পরীক্ষা করে জানান লোকটি মারা গেছেন। 

পরে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে মরদেহটি উল্লেখিত এলাকায় ফেলে আসা হয়। সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একজনের একাউন্টে লাশের ছবি দেখে ওই তিনজনকে আটক করে পুলিশ। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে উল্লেখিত এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। লাশের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তার পড়নে শার্ট ও জিন্সের প্যান্ট ছিল। 

এসময় সেখানে ক্যানেলের দুইপাড়ে শত শত মানুষের ভীড় জমে। পরে ছুটে যান নীলফামারীর সহকারি পুলিশ সুপার (সৈয়দপুর সার্কেল) সারোয়ার আলম ও সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসনাত খান। 

সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান জনবাণীকে জানান, লাশটি যেহেতু চিরিরবন্দর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে চিরিরন্দর থানা পুলিশকে শুধু সহযোগিতা করেছে সৈয়দপুর থানা। আটককৃতদের চিরিরবন্দর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনাটি তারাই তদন্ত করছেন। 

এসএ/