চিকিৎসক ছাড়াই নার্স-আয়া দিয়ে চলে হাসপাতাল, কাটলো নবজাতকের কপাল
17Shares

ছবি: সংগৃহীত
ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক ছাড়াই নবজাতক প্রসবের সময়, নার্স ও আয়া শিশুর কপাল কেটে ফেলেছেন বলে অভিযোগ করেন স্বজনরা। শনি...
বিজ্ঞাপন
ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক ছাড়াই নবজাতক প্রসবের সময়, নার্স ও আয়া শিশুর কপাল কেটে ফেলেছেন বলে অভিযোগ করেন স্বজনরা। শনিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে ফরিদপুর শহরের পশ্চিম খাবাসপুর মহল্লার আল মদিনা প্রাইভেট হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় হাসপাতালের দুই পরিচালকসহ অভিযুক্ত নার্সকে আটক করেছে পুলিশ। এরা হলেন পলাশ মোল্লা (৪৫), আল হেলাল (৪১) এবং নার্স চায়না বেগম (৩৬)।
বিজ্ঞাপন
সেই সঙ্গে এই ঘটনায় ওই হাসপাতালের সব কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছেন জেলা সিভিল সার্জন ছিদ্দীকুর রহমান।
প্রসূতির নাম রুপা বেগম (২৮)। তিনি রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী শফি খানের স্ত্রী। ২০২০ সালে এই দম্পতির বিয়ে হয়। এটিই তাদের প্রথম সন্তান।
প্রসূতির ননদ হোসনেয়ারা বেগম জানান, সকালে রুপার প্রসব বেদনা উঠলে রাজবাড়ীর উজানচরের শ্বশুর বাড়ি থেকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালের সামনে নিয়ে আসেন।
বিজ্ঞাপন
তাদের ইচ্ছা ছিলো সরকারি ওই মেডিক্যালে অস্ত্রোপচার করানোর। কিন্তু ওই হাসপাতালের বিপরীতে আল-মদিনা হাসপাতালের কর্মচারিরা তাদেরকে সেখানে নিয়ে যান।
তারপর চিকিৎকরের কথা বলে নন-ডিপ্লেমা নার্স দিয়ে অস্ত্রোপচার করানো হয়। এ সময় তিনি শিশুটির মাথার কিছু অংশ কেটে ফেলেন। বর্তমানে মা ও শিশু উভয়ই ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যালে কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে জানান তিনি।
এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর ভাতিজা মোস্তফা আমীর ফয়সাল (২৭) ফরিদপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
বিজ্ঞাপন
অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ নার্স চায়না বেগম ও হাসপাতালের দুই পরিচালককে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এসএ/