শহীদ মিনারে গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহ
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
মহান একুশের অমর সংগীতের রচয়িতা বরেণ্য সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও কলাম লেখক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয়েছে।
সেখানে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে। এরপর সর্বস্তরের মানুষ তাকে শ্রদ্ধা জানাবেন।
শনিবার (২৮ মে) দুপুর ১টার দিকে গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহ শহীদ মিনারে নেওয়া হয়। এর আগে সকাল ১১টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি ২০২ ফ্লাইটযোগে লন্ডন থেকে ঢাকা পৌঁছায় আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহ।
সেখানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সরকারের পক্ষে মরদেহ গ্রহণ করেন। লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের তত্ত্বাবধানে প্রয়াতের স্বজনরাও একই ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন।
দুপুর ১ টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। শহিদ মিনারে মরদেহ পৌছালে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের শিল্পীরা কোরাস কণ্ঠে গাফফার চৌধুরীর লেখা `আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি...` গানটি গেয়ে অনুষ্ঠান মঞ্চে নিয়ে যান।
এরপর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সাড়ে তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে জানাজার পর বিকেল চারটায় জাতীয় প্রেসক্লাবে আনা হবে বরেণ্য এই সাংবাদিকের শববাহী কফিন। সাড়ে পাঁচটায় মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করে হবে।
মুক্তিযুদ্ধকালে মুজিবনগর সরকার নিবন্ধিত স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পত্রিকা 'সাপ্তাহিক জয় বাংলা'র প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক আবদুল গাফফার চৌধুরী।
উল্লেখ্য, বাঙালির হৃদয়ে চিরজাগরূক অশ্রুমাখা গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’র রচয়িতা আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী গত ১৯ মে লন্ডনের একটি হাসপাতালে ৮৮ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের সংবাদে দেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নামে। গত ২০ মে শুক্রবার পূর্ব লন্ডনের ব্রিকলেইন মসজিদে তাঁর প্রথম জানাজা হয়। এরপর পূর্ব লন্ডনের ঐতিহাসিক শহীদ আলতাব আলী পার্কের শহীদ মিনারে বাংলাদেশি-ব্রিটিশ কমিউনিটির সদস্যেরা তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর ২৩ মে গাফফার চৌধুরীর স্মরণে পূর্ব লন্ডনে এক মিলাদ মাহফিল ও শোকসভা আয়োজন করে বাংলাদেশ হাইকমিশন।
ওআ/