শেখ হাসিনা থাকতে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই: পরশ


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


শেখ হাসিনা থাকতে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই: পরশ

“যতদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আছেন, ততদিন বাংলাদেশ তালেবান বা শ্রীলঙ্কা হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশে দুইটি পক্ষ রয়েছে, তাদের একটি পক্ষ দেশকে তালেবান রাষ্ট্র বানাতে চায়। অন্য পক্ষ শ্রীলঙ্কা বানাতে চায়। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকার যতদিন থাকবে ততদিন তাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না। যুবলীগ যদি প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের গল্প নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে যায়, তাহলে বিএনপি-জামায়াতের অস্তিত্ব থাকবে না।”

শনিবার (২৮ মে) দুপুরে পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের ত্রি বার্ষিকী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শেখ ফজলে শামস পরশ এসব কথা বলেন।

যুবলীগের চেয়ারম্যান শামস পরশ বলেন, ‍“শুধু রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নয়, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও উর্বর এই চট্টগ্রামের মাটি। জনপ্রিয় ব্র্যান্ড দল সোলস, এলআরবি, নগর বাউল, রেনেসা- এই সবকিছুর জন্ম এই চট্টগ্রামের মাটিতে। চট্টগ্রাম রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ। শুধু ঐতিহ্য নয়, চট্টগ্রাম প্রগতিশীলতারও ধারক ও বাহক। চট্টগ্রামের মানুষের মধ্যে সৃদৃঢ দেশপ্রেম রয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যায়ের প্রতিবাদ করার অদম্য শক্তি কাজ করে। চট্টগ্রামের বিপ্লবী ঐতিহ্য রয়েছে। এই মাটি প্রতিবাদী মাটি, এই মাটি কখনো অন্যায়, অবিচার এবং মিথ্যাচার বরদাশত করে নাই।”

তিনি বলেন, “আমরা যখন পদ্মা সেতু করেছি তখন বিএনপির সেটি সহ্য হচ্ছে না। বিএনপি একসময় বলেছে পদ্মা সেতু হবে না। এখন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কথা ফিরিয়ে নিয়ে বলছেন পদ্মা সেতু কারো একার নয়, জনগণের। আবার বলছেন পদ্মা সেতুতে খরচ অনেক বেশি হয়ে গেছে। কাজেই তারা উন্নয়ন হয়েছে স্বীকার করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের একটি উন্নয়নশীল দেশ উপহার দিয়েছেন। বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ সম্মেলন যুবলীগের একটি সোনালী অধ্যায় হয়ে থাকবে। আজ যুবলীগের সম্মেলনে নেতৃত্বে কে আসবে সেটি বড় কথা নয় বরং আগামী নেতৃত্ব কেমন হবে সেটিই হচ্ছে বড় কথা। এটিই হচ্ছে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।”

দেশপ্রেমিক কর্মীবান্ধব জনদরদী নেতৃত্ব নির্বাচন করতে হবে উল্লেখ করে পরশ বলেন, “আমাদের লক্ষ্য ও চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে। আপনারা গ্রহণযোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন, যে নেতৃত্ব সৎ ও মানবিকতার মাধ্যমে বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করবে। আগামী নির্বাচনে সবাইকে কাজ করতে হবে। উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে ও মর্যাদা সমুন্নত রাখতে মেধাসম্পন্ন সুদৃঢ় নেতৃত্ব দরকার। কে হবে নেতা, তার চেয়ে বড় কথা নেতৃত্ব কেমন হবে? পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য যোগ্য নেতৃত্ব দরকার।”

তিনি আরও বলেন, “এক অদৃশ্য কারণে ২০০৮ সালে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জোয়ারের সময় চট্টগ্রাম দক্ষিণে দুইটি আসনে জয়ী হয়েছিল। যোগ্য নেতৃত্বে দক্ষিণ চট্টগ্রামকে আওয়ামী লীগের ঘাঁটিতে পরিণত করতে হবে। আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ স্বাধীনতাবিরোধীদের ভয় পায় না। বাংলাদেশের উন্নয়ন রোল মডেল, এটা সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে। যে নেতৃত্বের নাম শেখ হাসিনা। উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে আওয়ামী যুবলীগকে মাঠে ও মানুষের পাশে থাকতে হবে।”

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক প্রার্থ সারথী চৌধুরীর সঞ্চালনায় দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সভাপতি আ.ম.ম টিপু সুলতান চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী উপ প্রচার সম্পাদক  সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সংসদ সদস্য মো.নজরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৬ আসনের সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মো.সাইফুর রহমান সোহাগ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মীর মো.মহি উদ্দীন, উপ ক্রীড়া সম্পাদক মো.আব্দুর রহমান, সহ-সম্পাদক মো.নাসির উদ্দীন মিন্টু, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিট, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহাবায়ক দিদারুল ইসলাম চৌধরী, যুগ্ন আহ্বায়ক সোলায়মান চৌধুরী, রাজু দাশ হিরু, সাবেক এমপি চেমন আরা তৈয়ব, দক্ষিণ জেলা আ’লীগের সহ সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, যুগ্ন সম্পাদক রাশেদ মনোয়ার, পৌর মেয়র আইয়ুব বাবুল।

দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক পদে ৫২ জন প্রার্থীদের মধ্যে প্রত্যেকজন নেতাকর্মীদের নিয়ে বিশাল বিশাল শোডাউন নিয়ে সম্মেলনস্থলে প্রবেশ করেন। এরমধ্যে নানা রংয়ের ব্যানার পেস্টুন, টুপি, টি-শার্ট, প্লে-কার্ড নিয়ে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আব্দুল হান্নান লিটন, পটিয়া পৌরসভা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ডি.এম জমির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী সাহাবুদ্দিন, দক্ষিণ জেলা মৎসজীবি লীগের যুগ্ন আহ্বায়ক সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে শত শত নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে সম্মেলনস্থল কাঁনায় কাঁনায় পূর্ণ হয়ে যায়। 

এসএ/